পশু কুরবানির জন্য ৫৫৫টি স্থান নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি
শাকিল আহমেদ : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি দিতে হবে। এজন্য ৫৫৫টি স্থানে নির্ধারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে কুরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০৪টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হবে। যদিও বেশ কয়েক বছর ধরেই নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানির ব্যবস্থা করা হলেও তা মানা হয়নি।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোহাম্মদ শফিকুল আলম জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পালিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা। আর এতে নগর পরিচ্ছন্ন রেখে ভোগান্তি কমাতে নেওয়া হচ্ছে আগাম প্রস্তুতি। যাতে করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কুরবানির বর্জ্য অপসারণ করা যায়।
ডিএসসিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এ প্রতিবেদককে বলেন, গত বছর কুরবানির জন্য ডিএসসিসি এলাকায় ৫০৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বছর বাড়িয়ে ৫৫৫টি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তা আরও বাড়িয়ে ৭০০টির উপরে নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কারণ গত বছর ২ লাখ ৫৩ হাজার পশু কুরবানি হয়েছে। এবার আরও বেশি প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার পশু কুরবানির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজধানী থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করে ডিএসসিসি। গত বছর ২৫ হাজার টন কুরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছিল সংস্থাটি। এ বছর বর্জ্যরে পরিমাণ গতবারের চেয়ে আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, কুরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, নেভি, সেনাবাহিনী ও রাজউকের কাছ থেকে ১৫টি পানির গাড়ি, ২০টি ডামট্রাক, ৭টি হুইল লোডার চেয়েছি। এছাড়াও ডিএসসিসির ৪৪টি ডামট্রাক ৭টি হুইল লোডার ও ৮টি পানির গাড়ি রয়েছে। যা ব্যবহার করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ডিএসসিসি এলাকার সকল বর্জ্য অপসারণ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। সম্পাদনা : হাসান আরিফ