ইসলাম বাদ দিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্ভব নয়
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
ইসলাম নারী জাতীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নারী নির্যাতনকারীদের ভর্ৎসনা করে জঘন্যতম অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। ইসলাম ধর্ম আগমনের পূর্বে নারী সমাজের সামাজিক কোনো মর্যাদাই ছিল না। তৎকালীন যুগে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে অভিভাবক তথা মাতা-পিতার মুখ কালোমুখ হয়ে যেত। জীবন্ত পুতে ফেলা হতো মাটিচাপা দিয়ে। মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না তাদের। বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নারীদের ছিল না। ব্যবহার হতো ভোগের পণ্য হিসেবে।
একমাত্র ইসলামই নারীদের যথার্থ সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। নারীদের মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি জীবনের সকল স্থরে নারীদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে শুধুমাত্র ইসলাম। সম্প্রতি বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা চরম আকার ধারণ করেছে। দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য কর্মকা-। কিন্তু আজ একশ্রেণির জ্ঞানপাপী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত বলে যারা নিজেদের দাবি করেন, ইসলাম সম্পর্কে তারা ভুল বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। নারী অধিকারের কথা বলে নারীদের ইসলামের বিরুদ্ধে দাড় করানোর এক ধরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যারা আজ নারী অধিকারের কথা বলে ইসলামকে নারী বিদ্ধেষী হিসেবে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন তারা কি এমন একটি প্রমাণও দিতে পারবেন যে, যারা পরিপূর্ণভাবে ইসলাম অনুসরণ করে কিংবা ইসলামের ধারক-বাহক তাদের দ্বারা দেশে একটিও কি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে? একজন আলেম কিংবা মাদ্রাসা ছাত্রের দ্বারা ধর্ষণ, নারী পাচার, যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনা দেশে কি একটিও ঘটেছে? তারপরও কেন ইসলামকে নারী বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস?
ইসলাম যেহেতু নারীদের যথার্থ সম্মান দিয়েছে, নারীদের অধিকার সুরক্ষিত রেখেছে, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে তাই ইসলামকে বাদ দিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বরং নারীদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামি আদর্শকে সকল স্তরে লালন ও পালন করতে হবে। শুধু নারী অধিকারের স্লোগান দিয়ে নারী উন্নয়ন সম্ভব নয়।
লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা
সম্পাদনা: আশিক রহমান