মানবপ্রজাতি ‘নেন্ডারথলের’ ডিএনএ এর গবেষণায় নতুন তথ্য
সালেহ ইউসুফ: বিশেষজ্ঞরা নতুন করে নেন্ডারথল মানবপ্রজাতির ইতিহাসের ডিএনএ এর উপর পর্যালোচনামূলক গবেষণার চালিয়ে এ বিষয়ে নতুন তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়েছেন।
এর আগের গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ হাজার বছর আগে প্রজাতিটির বিলুপ্তির শেষের দিকে প্রায় এক হাজার জনের উপস্থিতি ছিল।
ন্যাশনাল আকাদেমি অব সায়েন্সের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ওই সময়ে মানব এই প্রজাতিটির উপস্থিতি ছিল প্রায় ১০ হাজার। তারা ইউরোপে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করতো।
নেন্ডারথল প্রজাতিটির ডিএনএ এর বংশানুক্রমের ধারা নির্দেশ করে যে ছোট পরিসরে বংশগতির বৈচিত্র ঘটেছিল। এবং ছোট পরিসরের বংশগতির এই বৈচিত্রের ফলে জনসংখ্যাও ক্ষুদ্র ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে পাওয়া নেন্ডারথলের জীবাশ্ম বংশানুক্রমে একটি থেকে অপরটি আলাদা বলে দেখতে পাওয়া গেছে। সহকারী গবেষক ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ড. এমডি অ্যান্ডারসন বলেন, ধারণা করা হয় যে ক্ষুদ্র সংখ্যাতেই তাদের উপস্থিতি ছিল। ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই জনগোষ্ঠী বিভিন্ন দ্বীপে বসবাস করতো। বনিবনা না হলে কখনো কখনো তারা এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে চলে যায়। নিজেদের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অবস্থান করাই তাদের ঐতিহ্য ছিল।
তবে নতুন পদ্ধতির গবেষণায় দেখা গেছে, নেন্ডারথল প্রজাতিটির মধ্যে অন্য একটি রহস্যময় পূর্বপুরষের বাংশানুক্রম ধারাও পাওয়া গেছে। ‘ডেনিসোভ্যানস’ নামে পরিচিত এই প্রজাতিটি সাত লক্ষ ৪৪ বছরের প্রাচীন। ডেকানক্রনিকল