ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১১ দিন চলাচল বন্ধ থাকবে বালুবাহী বাল্কহেড
তরিকুল ইসলাম সুমন : রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের পূর্বে ২৮ আগস্ট থেকে ঈদের পর ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ দিন দিনের বেলায়ও সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের আগে ৫ দিন ও পরে ৫ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হবে। গতকাল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
সভায় অন্য সিদ্ধান্তের মধ্যে ঢাকা সদরঘাটে শৃঙ্খলারক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা এবং সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা হকারমুক্ত রাখা, সদরঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্টিলের ডাস্টবিন স্থাপন, জনগণকে ডাস্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন-গ্যাংওয়েতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ পর্যায়ক্রমে সকল ঘাটে এ ব্যবস্থা চালু করা, টার্মিনালসমূহে সতর্কতামূলক বাণী মাইকে ও মনিটরে প্রচারের ব্যবস্থা করা।
সভায় জানানো হয় যে, ঘাট ইজারাদার কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লঞ্চে যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দৌলতদিয়া ঘাটে পার্কিং বে ও বাইপাস জরুরি ভিত্তিতে চালু করা হবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা এবং নদীতে এলোমেলোভাবে ট্যাংকার, লঞ্চ, কোস্টার বার্জ ইত্যাদি চলাচল নিয়ন্ত্রণ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ