বুড়িগঙ্গা সেতুতে উল্টোপথে সিএনজি যানজট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও কাওসার মাহমুদ, কেরানীগঞ্জ : রাজধানীর বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু বাবুবাজার ব্রিজে প্রতিদিন কোনো না কোনো স্পটে দুর্ঘটনা ঘটছে। ব্রিজের মাঝখানে স্টিলের ডিভাইডার দেওয়ায় শত শত সিএনজি উল্টো পথে চলছে। এ কারণে দীর্ঘসময়ের যানজট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, রাজধানীতে ঢাকা মেট্রো অনুমোদিত সিএনজি ছাড়া অন্য জেলা কিংবা নামের সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ। এরপরও দুই ব্রিজে প্রায় ৫ হাজার সিএনজি চলাচল করছে। তার মধ্যে অবৈধ ও চোরাই সিএনজিও রয়েছে। একসময় এই সিএনজি নিয়ন্ত্রণ করতো বুড়িগঙ্গা ১ম ব্রিজ টোল আদায়কারী ওয়াসিম। এসব সিএনজি চলতো কেরানীগঞ্জ, পাগলা, ফতুল্লা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। তবে বছর দুই আগে র্যাবের সঙ্গে বন্ধুক যুদ্ধে ওয়াসিম নিহত হওয়ার পর পরই এটি নিয়ন্ত্রণে নেয় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। ঢাকা জেলা কেরানীগঞ্জ উপজেলার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সবুজ মল্লিক বলেন, কেরানীগঞ্জে রাস্তার অবস্থা খুবই বেহালদশা। তবে এসব উত্তরণে উপজেলা চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ৩০ ট্রাক ইট সড়কের বিভিন্ন স্পটে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রিজে কিছু সিএনজি চলাচলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন এমন কাগজপত্র দেখালে তাদেরকে বাধা দেওয়া কিংবা আটক করা হয় না।
সরেজমিন দেখা যায়, বাবুবাজার ব্রিজ ছিদ্র করে স্টিলের পাত দিয়ে বেড়া ও লোহার খুঁটি বসিয়ে ডিভাইডার করা হয়েছে। ১২ ইঞ্চি লোহার নাট ব্রিজ ছিদ্র করে ঢুকানো হয়েছে। প্রতিটি খুঁটিতে চারটি করে ১৬শ নাট ঢুকানো হয়েছে। এতে করে ব্রিজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ব্রিজের দুই মাথায় ট্রাক, বাস, লেগুনা ও সিএনজির স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এদিকে সিএনজি লেগুনা ও বাস থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে ইকবাল, সালাম, পিন্টু ও মুরাদ। তারা এসব ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের নামে আদায় করে। সিএনজি প্রতি ৩০ ও লেগুনা থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে আদায় করে বলে জানান গাড়ির স্টাফরা।
অপরদিকে প্রতিদিন ব্রিজের কোনো না কোনো স্পটে সিএনজি কিংবা লেগুনার সঙ্গে মোটরসাইকেল ছাড়াও বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের ডিসি রিফাত রহমান বলেন, বাবুবাজার ব্রিজ যানজট মুক্ত রাখতে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। প্রতিদিন আটক করা হচ্ছে অবৈধভাবে ডিএমপিতে চলাচলরত সিএনজি। তারপরেও রোধ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া কেরানীগঞ্জে যারা ট্রাফিক বিভাগে আছেন তারা যদি গুরুত্ব দেয় তাহলে ওইসব সিএনজি এই পাড়ে আসতে পারে না। তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের নামে চাঁদা ওঠানো হচ্ছে এমন কথা সঠিক নয়। এরপরও যদি কোনো ট্রাফিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ