নাইজেরিয়ায় চার্চে হত্যাযজ্ঞের জন্য ‘সংঘবদ্ধ চক্র’ দায়ী
বাসস : নাইজেরিয়ার চার্চে ধর্মযাজকসহ ১১ জনকে গুলি করে হত্যার কারণ হিসেবে সংঘবদ্ধ চক্রের অর্ন্তদ্বন্দ্বকে দায়ী করা হচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
চার্চটি তৈরিতে এমন একজন লোক অর্থায়ন করেছেন যাকে কেউ কেউ মাদক সম্রাট আবার কেউ কেউ মানবহিতৈষী হিসেবে জানে।
নাইজেরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় আনামব্রা রাজ্যের ওজুবুলু এলাকার সেন্ট ফিলিপসে রোববার হত্যাযজ্ঞের কয়েক ঘন্টা পর গোয়েন্দারা এই হত্যাকা-ের সঙ্গে স্থানীয় মাফিয়া-ধরনের সিন্ডিকেটগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছে।
আনামব্রা রাজ্যের পুলিশ কমিশনার গার্বা উমার দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘প্রকাশিত তথ্য থেকে বলা যাচ্ছে, নাইজেরিয়ার বাইরে একই গ্রামের সংঘবদ্ধ শিশুদের মধ্যে যে সংঘর্ষ-সহিংতা হয়, এটাও সে ধরনেরই।
’ নামদি ইকেগুওউনু নামের একজন ধনী মানবহিতৈষীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার অর্থায়নেই চার্চটি তৈরি করা হয়। তবে নাইজেরিয়ার কয়েকটি গণমাধ্যম তার বিরুদ্ধে অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে।
ইকেগুওউনুর অর্থ দিয়ে রাস্তা ও স্কুল তৈরি করা হয়। এমনকি তার অর্থায়নে নির্মিত ‘মানবিক প্রকল্পগুলোর’ বিজ্ঞাপণ পোস্টারও দেয়ালে লাগানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিন্তু ঘটনার দিন রোববার ইকেগুওউনু চার্চে ছিলেন না। তিনি উদার হস্তে চার্চে অর্থ দান করতেন। এমনকি চার্চের নতুন যাজকদের জন্য তিনি তিনটি গাড়িও প্রদান করেন।
উমার বলেন, ‘হামলাকারীরা ইকেগুওউনুকেই হত্যা করতে এসেছিল। তিনি সেখানে রয়েছেন মনে করে তারা নির্বিচারে গুলি চালায়।’
তিনি জানান, এই ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছে। অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ২০ জনের মতো নিহত হয়ে থাকতে পারে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ