নতুন ৯ ব্যাংক অনুমোদনে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই হয়নি : সেমিনারে বক্তারা
জাফর আহমদ : নতুন ৯টি ব্যাংক অনুমোদনের সময় উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট যাচাই-বাছাই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ব্যাংকাররা। তারা বলেন, যারা ৪০০ কোটি টাকা দেখাতে পেয়েছে তারাই ব্যাংকের মালিক হয়েছে। টাকা-পয়সা ভাল লোকের থাকে, আবার গুন্ডাদেরও থাকে। তাই ব্যাংক দেওয়ার আগে উদ্যোক্তা বাছাই করার দরকার ছিল। গতকাল ‘এভ্যুলেশন অব দ্য পারফরমেন্স অব নিউ কমার্শিয়াল ব্যাংক’ শীর্ষক এক গবেষণা পত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকরা এ কথা বলেন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকারের লক্ষ্য স্থির করা উচিত আগামী ৩ বছরে ১০ হাজার মানুষের জন্য একটি ব্যাংক শাখা প্রতিষ্ঠা করা। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রামে ১ শাখা শহরে ১ শাখা’-এর মতো বিচ্ছিন্ন নীতি পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক ৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ নিয়েও সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। নতুন প্রতিষ্ঠা পাওয়া ব্যাংগুলোর যেসব বিচ্যুতি ঘটেছে সেগুলো সংশোধন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।
মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, খেলাপি ঋণ আমাদের ভাগ্য। ঋণ খেলাপি হওয়া এখন একটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি দূর করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, খেলাপির সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক সংবাদ হয়। কিন্তু চার্জশিটের সময় তাদের নাম থাকে না। তাই ঋণ খেলাপিদের সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন রাজনৈতিক নেতা হয়ে জনপ্রতিনিধি হতে না পারে। এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন বলেন, নতুন ব্যাংক হিসেবে মূল্যায়নের জন্য ৪ বছর যথেষ্ট নয়। এই সীমিত সময়ে ব্যাংকগুলোকে এভাবে ব্যবচ্ছেদ করা ঠিক হবে না। নতুন ব্যাংকগুলো যেন ‘জন্মই যার আজন্ম পাপের মতো’ হয়েছে। এগুলোকে রাজনৈতিক বিবেচনার ব্যাংকসহ নানা অপবাদ দেওয়া হয়। ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়তে হয়েছে। প্রকৃত অর্থে পারফর্ম করেছে দুই বছর। এই সময়ের মধ্যে নতুন ব্যাংকগুলো যা করেছে তা খারাপ নয়।
রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী