ইসলামি দলগুলোর সামাজিক কর্মসূচি বৃদ্ধি পেয়েছে
হুমায়ুন আইয়ুব : ইসলামি দলগুলো ধর্মীয় ইস্যুর বাইরেও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। তারা খুন-ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ, এমনকি চিকনগুনিয়া, রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও বৃক্ষরোপণের মতো সামাজিক কর্মসূচিতেও যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বগুড়ার আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে খেলাফত মজলিস ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। এর কিছু দিন আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে মিছিল ও মেয়রের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে। সম্প্রতি দেশব্যাপি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন।
এ ছাড়াও পথশিশুদের সঙ্গে ইফতার, পথশিশু ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ, বন্যাকবলিত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণে আগ্রহ দেখাচ্ছে ইসলামি দলসমূহ। তাদের কর্মসূচির এ পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সাধারণ নাগরিকরা। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে ইসলামি দলগুলো ধর্মীয় বলয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হবে। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, আপনি যাকে পরিবর্তন বলছেন আমি তাকে পরিবর্তন বলতে রাজি নই। কেননা ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে আমরা বহু আগে থেকেই সামাজিক ইস্যুতে আন্দোলন করে এসেছি। যেমন, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন আমরা করেছি। মাদক ও তামাকজাত দ্রব্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।
দেশের প্রবীণ ইসলামি রাজনীতিবিদ ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের ইসলামি দলগুলোর এ পরিবর্তনকে ইতিবাচক দেখছেন। তবে তিনি মনে করেন, ইসলামি দলগুলোর উচিত সামাজিক ও জাতীয় ইস্যুতে আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া। কেননা মানুষের কথা বললে মানুষ আমাদের কথা শুনবে।