টানা বর্ষণে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ডেস্ক রির্পোট : উজানের ঢল ও গত তিনদিনের টানা বর্ষণে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শত শত হেক্টর রোপা আমনের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মৎস্যচাষিদের।
তিস্তার পাশাপাশি বুড়ি তিস্তা, কুমলাই, দেওনাই, চুড়ালকাটা ও নাউতরা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই পাশে বসবাসরত শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারাজে নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিনে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫৪ মিলিমিটার। গত বুধবার ১৫৮ মিলিমিটার, বৃহস্পতিবার ১৬৪ মিলিমিটার ও শুক্রবার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩২ মিলিমিটার। ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, টানা বর্ষণের কারণে তার পুকুরের দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ীতে তিস্তার নদীর ডান তীরে তৈরি করা ২ কিলোমিটার মাটির বাঁধটি ইতিমধ্যে ৫শ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গ্রামটিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানান, পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের মাটির বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। সূত্র – জাগোনিউজ