স্বামীর বাসায় গেলে মেরে ফেলতে পারে : রুবি
আরিফ আহমেদ : ‘আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে হত্যা করা হবে। আমাকে মেরে ফেলা হবে, তারপর বলা হবে আমি সু-সাইড করেছি। আমাকে মানসিক রোগী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু প্রমাণ করে দেখাক তো। আর জীবন রক্ষার জন্য আমি পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করে পরের ভিডিওগুলো করি। মৃত্যুর আশঙ্কায় আমি স্বামীর বাসা ছেড়েছি।’
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল ‘টাইম টেলিভিশন’ এসব কথা বলেন রুবি সুলতানা। তিনি বলেন, ফিলাডেলফিয়ায় আমাকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছিল, মানসিক ভারসাম্যহীন করে রাখা হয়েছিল। আমি ডিপ্রেশনে ছিলাম ২০১১ সাল পর্যন্ত, কিন্তু কখনোই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলাম না।
রুবির ভাষ্যমতে, স্বামীর বাসা ফিলাডেলফিয়ায় তিনি আর ফিরবেন না, সেখানে এখন আর তার নিরাপত্তা নেই। গেলেই মেরে ফেলতে পারে। তিনি জানান, শিখা নামের একজন নিউ ইয়র্কে তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এজন্যই টাইম টেলিভিশনে এসে ফের প্রথম দেওয়া ভিডিওর মতোই হত্যা সম্পর্কিত কথাগুলো বলেন রুবি।
অসংখ্য ভিডিও দিয়ে কেন বিভ্রান্ত করলেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি স্বামীর চাপে পড়েই সেসব কথা বলি। আমি প্রথম ভিডিও দেওয়ার পরে আমাকে বাসায় নিয়ে যায় আমার স্বামী। পরে তিনি আমাকে বলে আরেকটা ভিডিওতে বলে দিতে ‘তুমি মানসিক ভারসাম্যহীন,’ যা বলেছ ভুল বলেছ। কিন্তু এরপর বুঝি সত্যিই তারা আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানানোর প্ল্যান করছে। এমনকী মেরে ফেলার চিন্তাও করছে। কিন্তু যে বাসা ছেড়েছি, সে বাসায় ফিরব না। ওখানে আমার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে, আমাকে মেরে ফেলা হতে পারে।
নিরাপত্তা পেলে বাংলাদেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন কি না জানতে চাইলে রুবি বলেন, আমি ৮ নম্বর আসামি। আমি জানি না আমাকে কীভাবে ফাঁসানো হবে। যে দেশে ২১ বছরেও একটি হত্যার বিচার হয় না, সেখানে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগবো এটাই স্বাভাবিক। তবে পুরো নিরাপত্তা পেলে আমি তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যা জানি শুরু থেকে সব বলব।
রুবি বলেন, আমাকে এত প্রশ্ন করছেন, কেউ তো সামিরাকে প্রশ্ন করে না। সামিরা কেন সামনে আসে না। সামিরার পরিবারে অনেক ঘটনা ঘটেছে, এগুলো আমি জানি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী