ফরৌণের সাথে কথা বলেন মশি ও হারোণ
মশি ও হারোণ ইস্রায়েলদের সাথে আলোচনা করার পর মিসরের রাজা ফরৌণের সাথে দেখা করলেন। তারা তাকে বললেন, ‘আমাদের ঈশ্বর, ইস্রায়েল জাতির প্রভু তার আরাধনা করার জন্য আমাদের ডাক দিয়েছেন। এজন্য অবশ্যই আমাদের মরুভূমিতে তিন দিনের পথ যেতে হবে’। ফরৌণ খুব রাগ করলেন। তিনি বললেন, ‘মশি ও হারোণ, লোকদেরকে কাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে তোমরা আসলে কি করতে চাও? তোমরা তোমাদের কাজে যাও, আর লোকদের কাজ করতে দাও। আমি জানি, কেন লোকরা মরুভূমিতে যেতে চাচ্ছে। তাদের আসলে যথেষ্ট কাজ নেই বলে তারা এসব বাজে চিন্তা করার সময় পাচ্ছে। সুতরাং এখন আমি তাদের আরও বেশি কাজ দেব’।
সেই সময় ইস্রায়েলরা মিসরীয়দের জন্য ইটের ঘর বানাত। তারা কাদার সাথে খড় মিশিয়ে ইট বানাত। তখন পর্যন্ত মিসরীয়রাই খড় দিত। কিন্তু সেই সময় ফরৌণ বললেন, ‘আগের মতই তাদের ইট বানাতে দাও, কিন্তু খড় দিও না। ‘এতে ইস্রায়েলদের কষ্টের সীমা রইল না। প্রতিদিন আগের মতই তাদের ইট বানাতে হতো, অথচ এত খড় তারা পাবে কোথায়? এতে মশি ও হারোণের প্রতি ইস্রায়েলরা খুব রাগ করল। তারা বলল, ‘আমরা ভেবেছিলাম আপনারা আমাদের উদ্ধার করবেন। এখন দেখছি আমাদের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে’।
মশি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন। আর ঈশ্বর বললেন, ‘আবার তোমরা ফরৌণের কাছে যাও এবং আমি তোমাদের যে চিহ্ন দিয়েছিলাম তা তাকে দেখাও’। ফরৌণ উপহাস করে বললেন, ‘কে সেই ঈশ্বর, কেন আমাকে তার কথা মানতে হবে?’ তখন হারোণ তার লাঠিটা মাটিতে ফেলে দিলেন, আর সাথে সাথে তা সাপ হয়ে গেল। ফরৌণ তার যাদুকরদের ডাকলেন, তারাও একই ভাবে সাপ বানাল। ঈশ্বর তাদের তা করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু একটু পর হারোণের লাঠির সাপটা তাদের সাপ গুলোকে গিলে ফেলল। তবুও ফরৌণ ইস্রায়েলদের ছেড়ে দেননি।