লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির ১১টি উপায়
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
শারীরিক শাস্তি কিংবা মানসিক চাপ কোনোটাই শিশুর জন্যই ভালো নয়। অপরদিকে শিশুর ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক বাবা-মাই তাদের শিশুদের ওপরে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে শিশুর ওপরে বৈরী প্রভাব পরে। তাই অতি সহজেই শিশুর পড়াশোনায় উন্নতি সাধন করার জন্য কিছু সম্ভবনাময় পদক্ষেপ আলোচনা করা হল। ১. আপনার শিশু কোন পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণে করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় তা জেনে নিন। অনেক শিশুই শিক্ষার পাশাপাশি গান, নাচ, অভিনয় কিংবা ভিন্ন কোনো উপায়ে খুব ভালো শিখতে পারে। তাই আপনার শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কোনটি তা জানুন এবং তা তার শিক্ষায় কাজে লাগান। ২. শুধু পাঠ্যবইতেই শিশুকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। আপনার শিশু কোন কোন বিষয় শিখল তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। সেই বিষয় সম্পর্কে নিজের জ্ঞান থাকলে তাও তাকে জানান। এভাবে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে শিশুরা সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারবে। ৩.শুধু সন্তানকে শিক্ষা দিলেই হবে না, নিজেও শিখে নিন। সন্তানের সঙ্গে নিজে পড়াশোনা করুন। এতে সে দারুণ উৎসাহিত হবে। ৪. ইউটিউব শুধু বিনোদনের বিষয় নয়। ইউটিউবে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও। আনন্দর ছলে কঠিন সব সূত্র শিখতে চাইলে ইউটিউবে অনুসন্ধান করুন এবং আপনার সন্তানকে তা দেখান। ৫.আপনার সন্তানের শিক্ষার জন্য শুধু একটি বই যদি বারবার পড়তে হয় তাহলে তা একঘেয়ে হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য একত্রিত করুন। ৬. সঠিক স্থান বাছুন: শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন সব বিষয় শিশুর পড়াশোনায় বিঘœ ঘটাতে পারে। তাই পড়ার টেবিলটি এমন স্থানে বসান যেখানে রেডিও কিংবা টিভির মতো মনোযোগ নষ্ট করার উপাদান নেই। ৭. উৎসাহ ও প্রশংসা পেলে শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই সর্বদা তাদের উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। সামান্য অগ্রগতিই প্রশংসা করুন।
৮. পড়াশোনা নিয়ে জন্য যখন শিশু ব্যস্ত থাকে তখন অন্যান্য বিষয়গুলোতে ছাড় দিন। পরীক্ষা সারাবছর থাকবে না, এ বিষয়টি নিজে মানুন এবং তাকেও জানিয়ে দিন। ৯. কোনো রুটিন ছাড়া পড়াশোনা করলে তা সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। আবার শিশুদের সঠিকভাবে রুটিন মেনে চলা কঠিনও হতে পারে। তাই শিশুর জন্য পড়ার সময় ভাগ করে দেওয়া উচিত। ১০. শিশুর পড়াশোনার সহায়তার জন্য পুরো পরিবারকেই এগিয়ে আসা উচিত। বাসার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো, অংকের সূত্র লাগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাকে পড়াশোনায় এগিয়ে নিতে পারবে। ১১. শিশুর পড়াশোনায় অগ্রগতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। যদি সে কোনো সময় অন্য কোনো কারণে পিছিয়ে পরে তাহলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে যাবে।