ঈদে এক কোটি ২৯ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে
জাফর আহমদ: ঈদে এক কোটি ২৯ লাখ ঢাকা ছাড়বে। এ সব মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ তিন জেলা থেকে বাড়ি রওনা দেবে। এ তথ্য নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর)। ঈদুল আযহা পূর্ববর্তি সংস্থাটির পর্যবেক্ষনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পর্যবেক্ষনে বলা হয়, ঘরমুখো মানুষদের ৫৫ শতাংশ সড়কপথে, ২৫ শতাংশ নৌপথে এবং ২০ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত করে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ ঈদ-পরবর্তী দ্রুততম সময়ে ফিরে আসবে। এই হিসেবে এবার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের সড়কযানে যাচ্ছে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। আর লঞ্চ-স্টিমার- ট্রলারসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন সার্ভিসে যাচ্ছে যথাক্রমে ৩২ লাখ ২৫ হাজার ও ২৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। সান্নিধ্যপ্রত্যাশী এসব মানুষ ঈদের দিনসহ ঈদপূর্ববর্তী সাত ও ঈদপরবর্তী ১০ দিন মিলিয়ে ১৮ দিন যাতায়াত করবে। কিন্তু স্বল্পসময়ের জন্য এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নিরাপদ-নির্বিঘœ যাতায়াত নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেঢ প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ঈদ-পূর্ববর্তী সময়ে বাস ও লঞ্চের অগ্রিম টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গণবিড়ম্বনা ও অনেক লঞ্চ-বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। পর্যবেক্ষণকালে একটি পরিবহন সার্ভিসের বিরুদ্ধে ভলভো এসি বাসে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাড়া ১২ শ’ টাকার স্থলে ১৫ শ’ টাকা এবং অন্য একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নন-এসি নরমাল বাসে ঢাকা থেকে গাইবান্ধার ভাড়া ৪৬০ টাকার স্থলে ৫২০ টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে সংস্থাটির পর্যবেক্ষনে।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের তুলনায় এবার ঈদুল আজহায় ট্রেন ও বাসের টিকিট কালোবাজারি তুলনামুলক কম হলেও অনেক বাস ও লঞ্চ সার্ভিস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফেরিঘাট মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় দুর্বল ব্যবস্থাপনা কারণে ‘ভিআইপি সেবা’র নামে পদ্মার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারে সিরিয়াল (ধারাবাহিকতা) ভঙ্গসহ নানা অনিয়ম করা হচ্ছে।