সাক্ষাৎকারে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি রেহানা প্রধান জোট সম্প্রসারণ নয়, কিছু আসনে ছাড় দিবেন খালেদা জিয়া
কিরণ সেখ : অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দলের শীর্ষ একজন নেত্রী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ এবং ২০ দলীয় জোট সম্প্রসারণসহ নানা বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কি নাÑ এই প্রশ্নের জবাবে রেহানা প্রধান বলেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হতে পারে। কারণ নির্বাচন কমিশনারের কথাবার্তা ও কিছু কাজ সাহসী মনে হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জাগপার সভাপতি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা ১০টি আসন চাইব। যাতে ন্যূনতম ৫টি আসন পাই, এই প্রত্যাশা আমাদের। কারণ জোটের মধ্য জাগপাই একমাত্র দল, যাদের সারাদেশে ৫০টি জেলায় কমিটি রয়েছে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি করবেন, সেটা উনার সিদ্ধান্ত।
২০ দলীয় জোট সম্প্রসারণের কথা শোনা যাচ্ছে, কবে নাগাদ জোট সম্প্রসারণ করা হবেÑ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোট সম্প্রসারণ করা হবে না। তবে কিছু কিছু ব্যক্তিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ছেড়ে দিবেন জোট নেত্রী খালেদা জিয়া।
জোটের বাইরে কোন কোন ব্যক্তিকে আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে এই জোট নেত্রী বলেন, এটা একমাত্র বিএনপি চেয়ারপারসন বলতে পারবেন, আমি বলতে পারব না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেহানা প্রধান বলেন, সরকার ২০ দলীয় জোটের দাবি না মানলে আমরা কি করব এই বিষয়ে এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। আন্দোলন রূপরেখাও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আন্দোলন করতে হবে। কারণ আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি আদায় হয় না।
জোটের এই শীর্ষ নেত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা দিতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনে সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দিতে হবে। এগুলো হলেই কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। অন্যথায় এর ব্যত্যয় ঘটলে অগণতান্ত্রিক শক্তি আসবেই। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ