বরিশালে গরুর কাক্সিক্ষত মূল্য পাচ্ছেন না খামারিরা
বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালে জমে উঠেছে পশুর হাট। জেলা ও নগরীতে মোট ২২টি পশুর হাটে স্থানীয় খামারিদের গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে গরুর কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অনেক খামারি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, জেলার খামারিদের যে পরিমাণ গরু হাটে উঠেছে তাতে সহজেই জেলার কোরবানির চাহিদা মিটবে। কোরবানি উপলক্ষে নগরীর হাটখোলা এলাকাধীন নিউ কসাইখানা এবং বাঘিয়ার স্থায়ী গরুর হাট। ২৫নং ওয়ার্ডের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশ্ববর্তী নগরীর সিএন্ডবি রোডের উপজেলা পরিষদের বিপরীতে এনায়েত উল্লাহ হাউজিং, নগরীর টিয়াখালী, কালিজিরা, কাশিপুর এবং বারৈজ্যার অস্থায়ী হাটের বাইরে নগরী সংলগ্ন সুগন্দিয়া, চরমোনাই, সাহেবেরহাট, গৌরনদীর কসবা, উজিরপুর-বানারীপাড়ার সীমান্তবর্তী গুয়াচিত্রা, বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়ার হাটগুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এ হাটের বাইরে উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি পশুর হাট বসেছে। এরইমধ্যে বেচাকেনা জমে উঠেছে। তবে ভারতীয় গরু উঠায় খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। কসবা গো-হাটের ক্রেতা মো. নুরুজ্জামান সরদার জানান, হাটে ঘুরে মাঝারি আকারের দেশি গরুতেই তারা বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এ বছর মূল্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। হাটের ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, এখানে বিদেশি বা ভারতীয় গরুর তেমন চাহিদা নেই। খামারি হানিফ বেপারী, রাসেদ সরদার জানান, গরুর খাবারের দাম, গাড়ি ভাড়াসহ বাজারে সব জিনিসেরই দাম বেশি। কিন্তু গরুর দাম কেউ দিচ্ছে না।
এতে তারা খামারের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান