৬টি ড্রেজার মোতায়েন, সংকট থাকবে আরও ৩-৪ দিন নাব্য সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
তরিকুল ইসলাম সুমন : দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এরুটটি চলাচল উপযোগী করার জন্য কাজ করছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (্িবআইডব্লিউটিএ)। ইতোমধ্যে ৬টি ড্রেজার নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। তবে এ সমস্যা ৩-৪ দিনের মধ্যে কমে যাবে বলেও আশা করছে ্িবআইডব্লিউটিএ।
নাব্যতা সংকটের কারণে গতকাল সকাল থেকে ৫টি ফেরি দিয়ে ছোট যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে। তবে ভারি যানবাহন বিকল্প পথ দিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিমুলিয়ায় অবস্থানরত বিআইডাব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন বলেন, পানিতে অনেক স্রোত থাকায় ড্রেজিংকৃত অংশ দ্রুত ভরাট হয়ে সমস্যা তৈরি করছে। স্রোতের তীব্রতা বেশি হওয়ার কারণেও ড্রেজার বসানো কষ্টকর। তার পরেও আমরা আমাদের সাধ্যমত কাজ করছি। এটি বিদেশি কোম্পানি সিনো হাইড্রোর বড় একটি ড্রেজারসহ ৬টি ড্রেজার বসানো হয়েছে। আশা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, গতকাল সকাল থেকে ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, কাকলী, করবী ও কেতকী দিয়ে ছোট যানবাহনসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। নাব্য সংকটের কারণে গতরাতে লেনটিন, রায়পুরা ও যমুনা যানবাহনসহ লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেনটিন ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।
মাওয়া-কাওরাকান্দি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিক জানান, নদীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারি যানবাহনগুলো পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হবে। শুধু নাইট কোচ ও ছোট যানবাহন এ রুট দিয়ে পারাপার হবে।
তিনি আরও জানান, গত রাত থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক দেড় থেকে দুইশ’ ট্রাকসহ ভারি যানবাহন শিমুলিয়া-মাওয়া থেকে চলে গেছে। আরও অনেক ট্রাক চলে যাচ্ছে। মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর (টু আইসি) মো. জামসেদ জানান, যানবাহনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। ফেরি চলাচলের এ রূপ বিপর্যয় এ রুটে বিগত সময়ে দেখা যায়নি। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ ও ৩ শতাধিক সি-বোর্ড রয়েছে যাত্রী পারাপারের জন্য। যা স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু