রোহিঙ্গা বিষয়ে সুচির কর্মকা- ঘৃণিত : অর্থমন্ত্রী
হাসান আরিফ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি, রাখছিও। কিন্তু তাদের অত্যাচারী যে একটা মনোভাব এতদিন ধরে চলছে এবং অত্যন্ত দুঃখের বিষয়… শান্তির জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই মহিলা (অং সান সুচি) তিনিও এটাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত ঘৃণিত এই পদক্ষেপ। তাদেরকে হিংস্রজাতি হিসেবেও তিনি উল্লেখ করেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে গতকাল নিজের কার্যালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের ছুটি শেষে কার্যালয়ে ফিরে নিজের দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মেহমানদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে দমন অভিযানের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামায় সরকার ‘কিছুটা চিন্তিত ও ক্ষুব্ধ।’ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরা কি বলব…। আমরা এখন যেটা করছি… বিশ্ব জনমতে ব্যাপকভাবে নাড়াচাড়া দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা শুনেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্পর্কে বলেছেন… আমরা মনে করি এটা এমন একটা বিষয়, যেখানে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেশী মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান। বাংলাদেশ সরকার তাদের ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি। এরই মধ্যে গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, গত ১১ দিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার গত শুক্রবার তিন দফা বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস গত ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বার্মার একটা অংশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া দরকার। এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে। এ বিষয়ে কফি আনানের দেখা দরকার।
তিনি বলেন, বার্মার আর্মি সেখানে যেতে পারবে না। তারা ষ্টুপিট। হিংস্রজাতি, ভয়ঙ্কর হিংস্র। সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর মতো কোন বাহিনী থাকবে।