রূপার সকরুণ আত্মাহুতি!
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে:
ওই খবরটা নিঃসন্দেহে মর্মন্তুদ।
অজান্তে, সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে
তুমি যেন আমার কোনো বোন;
তোমার জীবন সংগ্রাম ততোটাই একান্নবর্তী।
অথচ চলন্তবাসে পাষন্ডেরা তোমার জীবন নিল
তাই পত্রিকায় লিখেছি-
ধর্ষণের এই দানবীয়তা রুখবে কে?
সম্পাদক নাঈম ভাই পরবর্তী নির্দেশনা দিলেন।
টাঙ্গাইলে আজাদ ভাইকে ফোন করেছি
লাশ তখনও কবর থেকে তোলা হয়নি
সাবেক পিপিও ব্যাথাতুর ভাষ্য দিলেন; আর
তোমার হাফিজ ভাই দৃষ্টান্তপূর্ণ শাস্তি চাইলেন।
বললেন, মা শোকে শয্যাশায়ী।
প্রশ্ন জাগে, এ অঝোর কান্না শোধাবে কে?
লাশ যখন তাড়াশে বাড়ীর স্কুলমাঠে পৌঁছাল
সহোদরাদের কান্না হাজার বুক বিদীর্ণ করলো।
তাই ঢাবি’র শিক্ষিকা বাংলাট্রিবিউনে লিখেছেন-
আর নিতে পারছি না।
কারণ, তার রিক্সাচালক আস্ফালনে বলেছে-
‘বুঝেন নাই, নষ্ট কইরা মাইরা ফালাই নাই’।
ভেবে দেখুন, দেশটা কোথাও গিয়ে ঠেকেছে!
এ সবই যেন আমাদের নিশ্চুপতার রাজনীতি।
ই-মেইল:[email protected]