চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি হচ্ছে কি-না খতিয়ে দেখা দরকার
অধ্যাপক আবু আহমে : দআমি জানি না, চামড়া বাজারের ধরনটা কী? চামড়া বেইজড প্রোডাক্টের ডিমান্ড থাকলে চামড়ার তো ডিমান্ড থাকার কথা। কেউ বলে লবণের দাম বেড়ে গেছে। লবণের দাম বাড়লে তো চামড়ার দাম এত সস্তা হওয়ার কথা না। নাকি ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ব্লাকমেইলিং করছে, সস্তায় কেনার জন্য। এগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। তবে এসব নিউজ হতে পারে। সরকারের কি কিছইু করার নেই?
আমি যদি ইকোনোমিস্টের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলি, সরবরাহ চাহিদা ছাড়িয়ে গেলে কোনো কিছুর দাম কমে যায়। আপাতত ওরা হয়তো কিনছে না। কেউ কেউ বলছে ব্যাংকের লোন পায়নি। খালি লোন দিয়ে কেন কিনবে? চামড়া ব্যবসায়ী বা ট্যানারির মালিকরা তো নিজস্ব টাকা দিয়ে কেনার কথা। ওইখানে কোনো কারসাজি হচ্ছে কী না সেটা হয়তো সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি খতিয়ে দেখতে পারে। এমনও হতে পারে যে, কিছুদিন কিনা বন্ধ রাখলে তারা হয়তো কম দামে চামড়া দিয়ে যাবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চামড়া ধরে রাখার কোনো ক্ষমতা নেই। আসলে প্রতিযোগিতার অভাব থাকলে এগুলো হয়।
সীমান্তের ওই পাড়ে চাহিদা থাকলে যাবে। সীমান্তের ওই পাড়ের লোকেরা তো গরু জবাই করে না। চাহিদা থাকতেও পারে। পাচার আগেও হতো । আমি অস্বীকার করছি না। ওখানে তো চামড়ার অভাব আছে। আমাদের এখানে চামড়া আছে বেশি। আমি জানি না চামড়া কিভাবে পাচার হচ্ছে? চামড়াজাত আরও অনেক প্রোডাক্ট আছে। আমাদের যদি সেই সেক্টরটা এগিয়ে যায়, তাহলে চামড়ার দাম বাড়বে। কিন্তু চামড়াজাত প্রোডাক্টের দিক থেকে বাংলাদেশ এতটা আগাতে পারেনি। এই অবস্থা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারবে।
পরিচিতি: অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ: সাইফুল ইসলাম/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ