শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তপু সরকার হারুন, শেরপুর : শেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ ২৯ জনের নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে মারামারি ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে সদর উপজেলার বলাইচর ইউনিয়নের কুমরার চর আদর্শ গ্রামে স্থানীয় বিএনপি’র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মামলার বাদীর অভিযোগ, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নির্দেশে ওই অনুষ্ঠানের সভাপতি স্থানীয় ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামের জঙ্গলদি দশানি বাজার তিন রাস্তা মোড়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী এবং তাদের দোকান-পাটে হামলা চালায়। এতে ৮ নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হলে তাদের মধ্যে ৬ জনকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভার্তি করা হয়। এদিকে স্থানীয় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ইস্যু করা হচ্ছে বলে আওয়ামীলীগ কর্মীসহ গ্রামবাসী জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সদস্য মোবারক হোসেন বাঁশি বলেন, আমাদের এই এলাকার কুমরার চর আদর্শ গ্রামের সাথে পাশ্ববর্তি হাওরা পাড়া গ্রামের মধ্যে একটি বাঁশের সৃাকোয় পারাপারের ৫ টা আদায়কে কেন্দ্র করে ওই দুই গ্রামে’র মানুষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। এখানে বিএনপি-আওয়ামী লীগের কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া একই কথা বলেন এলাকার লিটন মিয়া, ময়নাল, শহিদুল ও বিল্লাল মিয়া।
এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ছামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির সধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়াসহ ২৯ জন নামীয় এবং আরও ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সদর থানায় ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, মারামারি’র ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, ওই দিন আমি কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখিনি এবং বিএনপি-আওয়ামীলীগের সাথে কোন মারামারি হয়নি। আমাদের সভার স্থান থেকে অনেক দূরে স্থানীয় গ্রামবাসীর দুই গ্রুপে সংর্ঘের ঘটনা ঘটেছে।