পর্দার অন্তর্গত রহস্য
মাহদি হাসান সজিব : বর্তমান সময়ে ধর্ষণ একটি ব্যাধি রুপেই প্রবেশ হয়েছে সমাজে। শিশু থেকে যুবা বৃদ্ধা; কারো রক্ষা নেই। এসব সংবাদেই প্রতিনিয়ত ভারি হচ্ছে আমাদের কর্ণ, দিশেহারা হচ্ছি পদে পদে। কিন্তু, এর কোনো প্রতিকার আদৌ খুঁজে পাচ্ছি কী আমরা! অথচ এ রোগের মহৌষুধ ‘পর্দার বিধান’ ইসলাম ধর্মে দেড় হাজার বছর আগেই দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কেই কোরআনে ঘষোণা করা হয়েছে, ‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করো, মূর্খযুগের মহিলাদের মতন নিজেদের প্রদর্শণ করে বেড়িও না। (আহযাব : ৩২) এই আয়াত থেকে দুটো বিষয় অনুধাবিত হয় ১. মহিলাদের সম্মানি হওয়া ২. তাদের পর্দার বিধান কায়েম করা। একমাত্র ইসলামই দিয়েছে নারীকে পূর্ণ মর্যাদা। যেটা অন্যকোনো ধর্মে দেয়নি। সেজন্যই তো তাদের গৃহে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর বাইরের কাজ পুরুষদের অধীন করেছেন। কেননা তারা সর্বোচ্চ সম্মানি। বাইরের কষ্টের কাজ তারা করবে কেনো? দ্বিতীয়ত পর্দার বিধান। যার দ্বারা তাদের সব থেকে দামি হিসেবে প্রকাশ করছেন। কেননা দামি জিনিস আবৃতই থাকে সর্বদা। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দামি আমরা স্বর্ণ, মনিমুক্তাকেই চিনি। এগুলো কারো ঘরে থাকলে অবশ্যই সুন্দরভাবে সুরক্ষিত রাখবে। যাতে লোকচক্ষুর অন্তরালে হয়। তেমনি মহিলাদের রাব্বুল আলামিন মহাদামি রুপে সৃষ্টি করে তার সুরক্ষার জন্য স্বীয়গৃহ নির্ধারণ করেছেন। আর বাইরে বেরোনোর জন্য পর্দার বিধান দান করেছেন যাতে এ মূল্যবান সম্পদও লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকে। আর যদি খোলাই থাকে; তার ওপর তো হায়েনারা ঝাপিয়ে পড়বেই।
এখন এ বিধানকে সর্বোচ্চভাবে রক্ষা করা নারীরই কর্তব্য। সহযোগীতার দায়িত্ব আমাদের। আপনি আপনাকে সংরক্ষণ করুন না! দুনিয়া আপনার সম্মান রক্ষা করবে।