বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ে যেতে চায় আসামের মানুষ
মাছুম বিল্লাহ : বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্যে যাতায়াতের জন্য দাবি জানিয়েছে আসামের বরাক উপত্যাকার মানুষ। অনুন্নত যোগযোগ ব্যবস্থার কারণে এ অঞ্চলের মানুষরা আসামের শিলচর থেকে বাংলাদেশের সিলেট হয়ে শিলং হয়ে গুয়াহাটি এবং কলকাতা ও শিলিগুড়ি রুটে বাস চালুর প্রস্তাব দিয়েছে।
গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার কাজি মুনতাসির মুর্শেদের কাছে এ দাবি জানিয়েছে বরাক উপত্যাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতি সংগঠনের নেতারা এ প্রস্তাব দিয়েছে বলে আমাদের অর্থনীতিকে জানিয়েছেন সহকারি হাইকমিশনার। তিনি জানান, তাদের এ প্রস্তাবগুলোটি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আসামের শিলচরে সম্প্রতি একটি সেমিনারে যোগদান করতে গেলে সেখানকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আমাদের অর্থনীতিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের নর্থ-সাউদার্ন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নীলৎপল চৌধুরী জানান, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে গুয়াহাটি বা কলকাতায় যেতে বরাক উপত্যকার মানুষদের ভোগান্তি হয়। এ কারণে এ অঞ্চলের বাংলাদেশের সিলেট হয়ে মেঘালয়ের শিলং হয়ে গুয়াহাটি এবং পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি, কলকাতা যাতায়াত করতে চায়। এতে এখানকার মানুষদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
তিনি জানান, আমাদের এ প্রস্তাবটি বাংলাদেশ সরকারকে জানানোর জন্য গুয়াহাটির সহকারি হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেছি। আর আমরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাবো, যাতে দুই দেশের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
বরাক উপত্যকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সরস্বত’ এর সাধারণ সম্পাদক শান্তুনূ সেন আমাদের অর্থনীতিকে জানান, দুর্গম ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমাদের রাজধানী গুয়াহাটি যেতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা সময় লাগে। এ ক্ষেত্রে আমরা যদি সিলেট হয়ে মেঘালয় হয়ে গুয়াহাটি যাই তাহলে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার মধ্যে গুয়াহাটি পৌঁছাতে পারবো। এতে আমাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
তিনি জানানা, একইভাবে আমাদের কলকাতা ও শিলিগুড়ি যাতায়াতেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে গেলেও আমাদের সময় ও অর্থ বাঁচবে।