রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের কূটনৈতিক সফলতা আছে
সুভাষ সিংহ রায়
মায়ানমারের যে অবস্থা তাতে মনে হয় না, এ রকম রাষ্ট্র পৃথিবীতে আদিকাল থেকে এ পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে রাখাইন এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং রোহিঙ্গাদের দমন ও তাদের হত্যা আন্তর্জাতিক পাতানো খেলার অংশ বলা যায়। আর এখানে বিশাল বিনিয়োগের ব্যাপার রয়েছে। সকলে এখন অর্থের পিছনে দৌড়াচ্ছে। আর্ন্তজাতিক পাতানো খেলার অংশ মনে হওয়াটা স্বাভাবিক।
প্রায় তিন লাখ শরনার্থীকে পুনর্বাসন, তাদের চিকিৎসা দেওয়া এবং তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করার বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই সফল হবে। এবার সেপ্টেম্বরের ৩য় মঙ্গলবারে যে অধিবেশনটি বসবে, এই অধিবেশনটায় মূখ্য আলোচনাই থাকবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকার মুখে বলছে যে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিবে না, নিরাপত্তার প্রশ্নে এটা বলছে। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে, সাহায্য দিচ্ছে, তাদের চিকিৎসা করছে। সরকার তো পিছিয়ে নেই। সরকারের কূটনৈতিক সফলতা আছে। এটা হল, কফি আনানের রির্পোটে যা এসেছে সেটা বাংলাদেশের কূটনীতির একটা সাফল্য বলা যায়। কারণ, এটা নিয়ে তারা কাজ করে আসছে অনেক দিন ধরে।
কূটনৈতিকভাবে ভারত ও চীনকে বুঝিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে সরকার অবশ্যই পারবে। যে সরকার মায়ানমারের সাথে আইনী লড়াই করে সমুদ্র সীমা জয় করেছে, ভারতের সাথে আইনী লড়াই করে সমুদ্র সীমা জয় করেছে, সে সরকার সবই পারবে।
পরিচিতি: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: মাকসুদা যূথি
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ