মিয়ানমার সরকার মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে : ফখরুল
কিরণ সেখ : মিয়ানমার সরকার মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের হত্যা, বর্বর নির্যাতন বন্ধ এবং বাংলাদেশের তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের দাবি’ উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি আয়োজিত এ কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোহিঙ্গারা হিন্দু না মুসলিম, এটা জিজ্ঞাস করার দরকার নেই, তারা মানুষ। সুতরাং মিয়ানমার সরকার আজকে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, যখন সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গা নির্যাতনে সোচ্চার হয়েছে, বিশ্ব মানবতা যখন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং সারাবিশ্ব যখন প্রতিবাদ করেছে তখন বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তাদের বিমান যখন আকাশ সীমালঙ্ঘন করে তখন এই সরকার চুপ করে থাকে। সুতরাং এটা হচ্ছে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচয়।
মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকার কোনো সুনির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে নাই অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এবং জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়- সরকারের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব মানবতার কারণে আশ্রয় দেওয়া মৌলিক দায়িত্ব। এটা আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাদের দাবিÑ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হোক, তাদের খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করা হোক রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এসময় সচিবালয়ের সামনে থেকে জাতীয় ঈদগাহ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সকাল ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানববন্ধন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ