কাল ২য় সাবমেরিন ক্যাবল লাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মুজাহিদ প্রিন্স, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন মাইটভাঙ্গা গ্রামে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের । আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করবেন। এ সময় পটুয়াখালী প্রান্তে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার সহ উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মীর্জা কামাল আহমেদ জানান, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন মাইটভাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালে ১০ একর জমির উপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের নির্মান কাজ। গত বছরের ২ নভেম্বর কুয়াকাটায় সংযোগ স্থাপন করে দ্বিতীয় সাব মেরিন কেবল। তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়কে যুক্ত হতে ২০১৪ সালের মার্চে মালয়েশিয়া কেন্দ্রিক ‘সি-মি-উই’ কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। গত বছর ২১ ফ্রেব্রুয়ারি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই কনসোর্টিয়ামের উদ্বোধন হয়। গত ১৬ জানুয়ারি হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৪ টেরাবাইট পার সেকেন্ড (টিবি/এস) গতির এই সি-মি-উই-৫ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই কনসোর্টিয়ামে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ এবং এই ক্যাবলের মোট ল্যান্ডিং পয়েন্ট রয়েছে ১৮টি।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) জেনারেল ম্যানেজার মশিউর রহমান জানান, ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের পস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকে ২০০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ এবং পর্যায়ক্রমে তা ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএসে উন্নীত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সি-মি-উই-৫’ কনসোর্টিয়াম আমাদেরকে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএসই ব্যান্ডউইথ দিয়ে দিচ্ছে। আমাদের যতটুকু প্রয়োজন আমরা তা নিচ্ছি। চাহিদা বাড়লে তখন আরো বেশী ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ নিতে পারবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত ‘সি-মি-উই-৫’ হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মিডল ইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-৫-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই কনসোর্টিয়ামে রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, জিবুতি, ইয়েমেন, সৌদি আরব, মিসর, ইতালি ও ফ্রান্স। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন