সুচিকে ১০০ ভাগ ভালবাসেন মিয়ামারের মানুষ
রাশিদ রিয়াজ : মিয়ানমারের মানুষ দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সুচির ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখেন। তারা মনে করেন, সুচিই পারবেন রোহিঙ্গা সংকট নিরসন করতে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষের মত ঘটনাও তিনি সামাল দিতে পারবেন। মিয়ানমারের ডিপ্লোমেটিক একাডেমির ছাত্র নে মিও জিন রেডিও স্পুটনিক’কে একথা জানান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর উগ্র বৌদ্ধ ও সেনাবাহিনীর সহিংসতা থেকে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট এমনকি রোহিঙ্গা শিশুদের গলা কেটে হত্যার মত ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশটির কঠোর সমালোচনা হলেও সুচি তার দেশে এখনো জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপি সুচির শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার মত দাবি উঠেছে। প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।
নে মিও জিন জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীর কারণেই রাখাইনে সন্ত্রাস হচ্ছে। তারা রাখাইনে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের দুর্ভাগ্যের জন্যে তাদের আচরণই দায়। তারা যদি সন্ত্রাস অব্যাহত রাখে তাহলে তারা স্থানীয় আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হবে। আমরা বার্মিজ জনগণ কোনো নিষ্ঠুরতা চাই না, সন্ত্রাসও চাই না। আমরা শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে চাই।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাস মোকাবেলার জন্যে নে মিও জিন আস্থা রাখেন নিরাপত্তা বাহিনী ও সুচি ওপর। তিনি অভিযোগ করেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কিছু সদস্য অবৈধ তৎপরতায় জড়িত এবং এধরনের জঙ্গি তৎপরতায় লাভবান হতে চায়। তাদের কেউ কেউ মানব ও মাদক পাচারকারী হিসেবে কাজ করছে। এভাবে প্রচুর আয় করে তারা তা অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহে ব্যয় করছে বলেও অভিযোগ করেন নে। তিনি বলেন, তারা এভাবে মিয়ানমার থেকে রাখাইনকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় এবং তা ইসলামি রাষ্ট্রতে রূপান্তরিত করতে চায়।
তবে অধিকাংশ রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমারের নাগরিক স্বীকৃতি না পেলেও নে বলেন, সুচি সরকার মনে করে, ব্রিটিশ আমলে তাদের অধিকাংশই অভিবাসি হিসেবে মিয়ানমারে আসে, যা অবৈধ। নে বলেন, ১৯৮২ সালের বার্মা সিটিজেনশি ল’ অনুযায়ী কেউ ১৮২৩ সালে ব্রিটিশ দখলদারিত্বে আগে মিয়ানমারে কারো পূর্বসূরি বাস করেছেন এটা প্রমাণ করতে পারলে তিনি দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ