উ. কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার প্রচারণা চালানো চ্যানেল বন্ধ করল ইউটিউব
লিহান লিমা : উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রচারণা চালানো দুইটি চ্যানেল বন্ধ করেছে ইউটিউব। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের মিসাইল প্রোগ্রামের স্বপক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে চ্যানেল দুইটি বন্ধ করা হয়। ‘স্তিমেকোরাস’ ও ‘উরিমিনজোকিরি’ নামের এই দুইটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার যথাক্রমে ২০ হাজার থেকে ১৮ হাজার। গত শুক্রবার ইউটিউবের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে তাদের চ্যানেল বাতিল হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, স্তিমেকোরিয়া উত্তর বর্হিবিশ্বের কোন দেশ থেকে উত্তর কোরিয়ার সমর্থকরা পরিচালনা করছে। এই চ্যানেলে মিসাইল পরীক্ষা, কিম জং উনের অস্ত্রাগার পরিদর্শন ও ফ্যাক্টরিগুলোর সক্ষমতা সম্পর্কে অনেক উচ্চ রেজ্যুলেশনের ভিডিও আপলোড কর হয়। আর উরিমিনজোকিরি সরাসরি উত্তর কোরিয়ার থেকে পরিচালিত এবং তাদের পোস্টগুলো বাহিরের বসবাসরত উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে দেয়া।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ জেফি লুইস ইউটিউবের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, এই চ্যানেলগুলো মিসাইল উৎক্ষেপণ, উত্তর কোরিয়ার শাসকের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর কারণ সম্পর্কে প্রচারণা চালাত। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের জন্য ইউটিউবের তাদের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা উচিত। উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশিয় ক্ষেপণাস্ত্রসহ থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকেও আঘাত করতে পারে। আমরা তাদের পছন্দ না করলেও তাদের বোঝাটা অনেক জরুরি। বিশেষ করে তাদের চিন্তা-ভাবনা, প্রোপাগা-া জানার জন্য তাদের মিথ্যে সম্পর্কে জানতে হবে। গবেষকরা এই ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বিশেষ ধারণা পেতে পারেন।
স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষক স্কট ল্যাফয় বলেন, ‘যদি কোন অ্যাকাউন্ট ডিলেট করে দেয়া হয় তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসন্ধান করা যায় না।’ তিনি আরো বলেন, ইউটিউব হয়তো মার্কিন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে চ্যানেলগুলো বন্ধ করছে। কারণ ভিডিও খুললেই আপনি বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ভাবতে পারে বিজ্ঞাপনের টাকা উত্তর কোরিয়ায় চলে যাচ্ছে, কিন্তু সেই সঙ্গে এটিও জেনে রাখা দরকার ইউটিউবের বিজ্ঞাপন বন্ধ হলে তাদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে ইউটিউব উত্তর কোরিয় প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে কোরিয়ান সেন্ট্রাল টিভি নামের একটি চ্যানেল বন্ধ করে। একই অভিযোগে চুজেন টিভি ও কেসি টিভি’র চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছিল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ