অস্ত্র বিক্রি এবং অং সান সুচির অবস্থান
এয়ার কমোডর ইসফাক এলাহি চৌধুরী (অব.)
চীন, পাকিস্তান, ইসরাইলসহ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রয় করছে বিভিন্ন দেশ। এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়, টাকা দিলে সবাই করে। যারা অস্ত্র উৎপাদন করে তারা সবাই চায় যে, অস্ত্রটা বিক্রি হোক দেশের ভেতরে বা বাইরে। যদি টাকা থাকে যে কেউ অস্ত্রটা কিনতে পারবে। কোনো কোনো দেশের উপর অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু মিয়ানমারের ওপর কেন এ ধরনের জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা নেই? ইরানের ওপর কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে, জাতিসংঘ দ্বারা পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে কি কি কারণে নিষেধাজ্ঞা…। আবার অনেক দেশ সেটা মানেও না। কিন্তু মিয়ানমারের ওপর এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। একসময় ছিল যখন সেখানে সামরিক সরকার ছিল। যেকোনো দেশ অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। মিয়ানমার রাশিয়া থেকে এয়ারগান, চীন থেকে তো সব ধরনের অস্ত্রই কেনে। পাকিস্তান থেকে সরাসরি অস্ত্র ক্রয় করেনি। এখন ভারতের সঙ্গেও নাকি চুক্তি হয়েছে। এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা তারা প্রয়োজন অনুযায়ী কিনছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অ্যামনেস্টি ও বিভিন্ন সংস্থাগুলো আহ্বান জানিয়েছে যে, মিয়ানমারের সেনাদের প্রশিক্ষণ না দেওয়ার জন্য। কিছুদিন আগে বাংলাদেশেও যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের সেনা অফিসাররাও বাংলাদেশে এসেছিল। আমরাও মিয়ানমারের পাশেই ছিলাম। আসল জিনিসটা হচ্ছে যে, ওখানকার নীতিটা হচ্ছেÑ রোহিঙ্গা বিরোধী।
অং সান সু চির ক্ষমতার বাইরে সামরিক বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ চালাবেন, কিন্তু সামরিকবাহিনীর কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তারপরও উনি যদি চাইতেন, নিশ্চয় কোনো কোনো না কোনো পদক্ষেপ নিতে পারতেন। তিনি কেন পদত্যাগ করছেন না এটা একটা বিরাট প্রশ্ন। এমনও হতে পারে উনি ওনার পপুলারিটি শেষ করতে চান না। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী। তার কাছে সবাই আশা করেÑ এ ধরনের অমানবিক ঘটনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসবেন। এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: মাকসুদা যূথি/সম্পাদনা: আশিক রহমান