নকল বই এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা
ড. অজয় রায়
একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় বইয়ের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কম ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা। এগুলো তাদের খামখেয়ালিপনা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ তারা জানে যদি বিনামূল্যে বই দিতে হয় তাহলে তো সকলকেই বিনামূল্যে দিতে হবে। আর যদি বিনামূল্যে বই দিতে না পারেন তাহলে একটা মূল্য ধার্য করবেন সেই মূল্যে বাজার থেকে বই কিনে নিতে হবে। যেহেতু একাদশ শ্রেণির বই সাধারণত বিনামূল্যে দেওয়া হয় না সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া একদমই ঠিক না। আমরা দেখতে পাই বাজারে অনেক প্রকাশনাই তাদের মনমতো মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। যার ফলে বেশিরভাগ দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পুরনো বই কিনে পড়তে বাধ্য হয়। এই যে নকল বই ছাপানো নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বই বিক্রি এগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট যারা কর্মকর্তা আছেন তারা এটার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, প্রয়োজনে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইবেন। এছাড়া আর কোনো উপায় আমি দেখছি না।
নকল বই ছাপলে তো অবশ্যই চড়া মূল্যে বিক্রি করবে, এরা তো ব্যবসায়ী স্বার্থ দেখবে। বিনামূল্যে যদি বই না দেওয়া যায় তাহলে এর প্রতিশ্রুতি কেন দেওয়া হয়? তাহলে এই অর্ধেক বই ছাপানোর কি দরকার? এ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে এবং তারা না পারলে প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার হস্তক্ষেপ আশা করবে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান