ওয়াইন তৈরিতেও বিশ্বে শীর্ষে উঠে আসছে চীন?
বিবিসি : পানীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইনের সুখ্যাতি রয়েছে। তবে এখন এগিয়ে আসছে চীন। সেই সঙ্গে এর ব্যবসায়িক সাফল্যও ঈর্ষনীয়। ওয়াইনের স্বাদ আর ব্যবসায়িক সাফল্যের কৌশল শিখতে প্রতিবছর দেশটিতে বহু শিক্ষার্থী আসে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আসছে চীন থেকে। বিবিসি
তাহলে সামনের দিনে চীন কি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ওয়াইন নির্মাতা দেশ?
ইতিমধ্যেই পৃথিবীর নামী ওয়াইন প্রস্তুতকারক দেশের মধ্যে চিলি, আর্জেন্টিনা আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলেছে চীন। আর এজন্য বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত দেশটির পরিকল্পনা আর প্রস্তুতিও রয়েছে অনেক।
বিশাল বিনিয়োগ যেমন নিশ্চিত করা হয়েছে, তেমনি ওয়াইন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভের জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবছর বহু চীনা শিক্ষার্থীকে পাঠানো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর মধ্যে একদল শিক্ষার্থী এসেছে অ্যাডেলেইডে। সরকারী বৃত্তিতে এসেছেন লিওয়েই লি। তিনি বলছেন, পড়া শেষ করে এখান থেকে ফিরে আমি হয়ত নিজেই ওয়াইন ব্যবসায় যুক্ত হব। ওয়াইনের পুরো বিষয়টিই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং মনে হয়। কারণ নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই পানীয় খুবই পছন্দ করে।
আর সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ফক্স গ্রোভ, পেনফোল্ডস কিংবা জ্যাকব’স ক্রীকের মত সব ওয়াইনের সুখ্যাতি ভুবনব্যপী। এর বাইরেও দেশটির রয়েছে নানা স্বাদ আর গোত্রের আরো বহু নামী ব্রান্ডের ওয়াইন। বছরে এ খাত থেকে অস্ট্রেলিয়া আয় করে হাজার হাজার কোটি ডলার। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এখনো সেরকম নয়। ওয়াইন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান লাভের জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবছর বহু চীনা শিক্ষার্থীকে পাঠানো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
দেখা যায় কোথাও কোথাও কাঠের ব্যারেলে করে জমিয়ে রাখা আছে পুরনো বহুমূল্য ওয়াইন, পৃথিবীব্যাপী যার চাহিদা ব্যাপক। বিশ্বে এই মূহুর্তে ওয়াইনের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা দেশ চীন। দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইনের চাহিদাও বছর বছর বাড়ছে। কেবল ২০১৬তেই যা বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। একই সাথে ভালো স্বাদের ওয়াইনের কদর বাড়ছে চীনা ভোক্তাদের মধ্যে। ইলেক্ট্রনিক্সসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর চীন যখন পানীয় তৈরিতে মন দিয়েছে, তার ১৬ আনা প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি। এই মূহুর্তে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স কিংবা ইটালির মত বড় ওয়াইন উৎপাদনকারী দেশের চেয়ে বেশি জমিতে আঙুরের চাষ করছে চীন। সম্পাদনা : মোনা