কাজ হবে ভারত শ্রীলংঙ্কা আর অর্থ বিভাগের ধারণার উপর
হাসান আরিফ : ভারত, শ্রীলংঙ্কা আর অর্থ বিভাগের ধারণাপত্রের উপর ভিত্তি করে কাজ করবে সরকারি কর্মচারিদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিশোধের বিষয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি। এদিকে ৮ আগষ্ট এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আরো ৯০ দিন সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মূদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষটি আমাদের দেশের জন্য নতুন বিষয়। তাই জীবন যাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা এবং মুদ্রাস্ফীতির সাঙ্গে সমম্বয় উপায় নির্ধারণের জন্য সুচিন্তিত সুপারিশ করা দরকার। তাই এই কমিটির মেয়ার বাড়ানো হয়েছে। নতুন বেতন স্কেল পুরোপুরি কার্যকর করার এক বছরও মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। চলতি বছরের ৯ মে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে একটি সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তখনও কমিটিকে প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৯০ দিন। সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক করা হচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব (সমন্বয় ও সংস্কার)। কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অর্থ বিভাগের নিযুক্ত প্রতিনিধি। এ ছাড়া কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন। ২০১৫ সালে যখন নতুন পে স্কেল কার্যকর করা হয় তখনই বলা হয়েছিল, সরকার কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর জন্য আর নতুন কোনো কমিশন গঠন করবে না। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে মূদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করা হবে সেই সুপারিশ করবে এই কমিটি। ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করা হয়।