‘গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর এডিপির বাস্তবায়ন বেশি’
সাইদ রিপন : গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের দুই মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল রোববার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মলন কক্ষে ১৫ মন্ত্রণালয় ও ১৬ বিভাগের সাথে এডিপি পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যানুযায়ী, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে এডিপির বাস্তবায়ন হার গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই হার ৮৫.০৬ শতাংশ। ডাক ও তার, রেলপথ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারে গত বছর সর্বনিম্নে রয়েছে।
জানা যায়, এ বছর ২ মাসে আর্থিক অগ্রগতি ৫.১৫ শতাংশ হলেও পিএ ব্যবহার মাত্র ৩.৬৭ শতাংশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলপথ ও সেতু বিভাগের বাস্তবায়ন হার এক শতাংশও হয়নি। এরা কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। প্রকল্প সাহায্য ব্যবহার সর্বনিম্নতা এডিপি বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অর্থ ব্যয়কেই এডিপির অগ্রগতির শতকরা হার ধরা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। যা এডিপি বরাদ্দের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দের বিপরীতে একই সময় ব্যয় হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি কম। আর এই কম অগ্রগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা দাতা সংস্থাগুলোকে দোষারোপ করেছেন। দাতা সংস্থাগুলোর অর্থছাড়ে সময় নেওয়া ও বাণিজ্যিক চুক্তিতে প্রলম্বিত করায় প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে শুরু করা যায় না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বন্যা ও অতিবৃষ্টিপাতের কারণে বোরো থেকে এবার ৮ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লাখ টন ধান ক্ষতি হবে। তবে ঘাটতি পূরণ করতে সরকার প্রায় ২০ লাখ টন চাল আমদানি করবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ