তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে
জাফর আহমদ : জুলাই-আগস্ট দুই মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ সময়ে ৫ হাজার ৫২৪ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। রাজস্ব বোর্ডের মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩০ হাজারের ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। জুলাই-আগস্ট দুই মাসের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৯৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫২৪ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। গত বছরে একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৮৪৩ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। প্রবৃদ্ধি হয়েছে হয়েছে ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। জুলাই আগস্ট দুই মাসের তথ্যে দেখা যায়, নিট গার্মেন্ট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং ওভেন গার্মেন্ট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সাম্প্রতিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মধ্যে এই তৈরি পোশাক রপ্তানির সিজনের পরিবর্তনের কারণে রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব। দুই মাসের তথ্যের ভিত্তিতে বেশি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু না থাকলেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য আমরা কাজ করছি।
তৈরি পোশাক রপ্তানির পাশাপাশি দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। রাজস্ব বোর্ডের তথ্যে দেখা যায়, দুই মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ সময়ে মোট পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৭২ মিলিয়ন ডলারের। গত বছরের একই সময়ে ১৪০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
জুলাই-আগস্ট একই সময়ে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাইমারি কমুডিটি ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ৩৯ দশমিক ৬৪৫ শতাংশ, কৃষিপণ্য ১৬. দশমিক ৪৭ শতাংশ, হস্তশিল্প ৪০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, রাবার ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ সময়ে সার্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ