ইযরায়েলের অস্ত্রেই রোহিঙ্গা নিধন অভিযান মিয়ানমারের
সংবাদ প্রতিদিন : প্যাগোডা থেকে শুরু করে মসজিদ। রাখাইন প্রদেশে তা-বের হাত থেকে রেহাই পায়নি কোনও ধর্মীয়স্থান। ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে রক্তাক্ত লড়াই চালাচ্ছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের নিশানায় নিরীহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। পালটা রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গা জঙ্গিদের সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে মিয়ানমার সেনা। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও প্রবল চাপ আসছে সু চি সরকারের উপর। এমনই পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মিয়ানমার সেনাকে সাহায্য করছে ইজরায়েল।
‘মিডল ইস্ট আই’ নামের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিয়ানমার সেনাকে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দমন করতে অত্যাধুনিক অস্ত্র জোগান দিচ্ছে ইজরায়েল। ওই অস্ত্রের জোরেই রাখাইনে বিদ্রোহীদের এক প্রকার কোণঠাসা করে ফেলেছে সরকারি বাহিনী। এছাড়াও ‘টার আইডিয়েল কনসেপ্টস’-সহ একাধিক ইজরায়েলি অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থা বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিয়ানমারের কমান্ডোদের। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০টি ট্যাঙ্ক, গানবোট, মিসাইল-সহ অন্যান্য মারণাস্ত্র মিয়ানমার সেনাকে দিয়েছে ইজরায়েল। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নাইপিদাও-এর পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে তেল আভিভ। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিয়ানমারের পাশে রুখে দাঁড়িয়েছে ইজরায়েল। রাখাইন প্রদেশে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের উপর অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তবে ইজরায়েল পাশে থাকে তাতে আদৌ কোনও প্রভাব পড়ছে না সরকারি বাহিনীর উপর, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জঙ্গিদমনের নামে নির্বিচারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে সরকারি বাহিনী, এমনটাই দাবি একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ