যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বিচারপতি না থাকায় বিচার কাজ বন্ধ!
আইনে ট্রাইব্যুনালের কোনো অস্থিত্ব নেই : তদন্ত সংস্থা য় প্রায় দুই মাস বিচারকার্য বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্দ
জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রায় দুই মাস ধরে বিচার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্দ। আর তাতে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীরা হতাশা প্রকাশ করেছে। তদন্ত সংস্থার মতে, ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আইনে ট্রাইব্যুনালের কোনো অস্থিত্ব নেই।
তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান বিচারপতি না থাকায় বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েক সাক্ষী ও আসামি বয়সের কারণে মারা গেছে। আরও কিছু আসামি ও সাক্ষী অসুস্থ। নির্দিষ্ট সময়ে এদের বিচার না হলে তাদেরর মৃত্যু ঘটতে পারে। তখন কোনো আসামি ও সাক্ষীকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের অর্ডার ছাড়া সাক্ষীদের আনাও যাচ্ছে না। এদিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে।
গত ১৩ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক মারা যাওয়ার পর দুই মাস ধরে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। ফলে ৩৩ মামলায় ১৪১ জনের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছে না। এর আগে ২৮ মামলায় ৫৩ জনকে দন্ড দেয়া হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান এ প্রতিবেদককে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আইনে ট্রাইব্যুনালের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম মূলত বন্ধ রয়েছে। ফলে বিচার যেভাবে চলছিল তার গতি হারাচ্ছে। আমরা চাই আবার গতি ফিরে আসুক। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর থেকে ১০ সাক্ষীকে ঢাকা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে ট্রাইব্যুনালের কাজ না চলায় বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল দ্রুত পুনর্গঠন করে বিচারকাজ আবারও শুরু করার জোর অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, এতদিনে আমরা আরো একটি মামলার রায় পেয়ে যেতাম। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ