দেশের ক্ষতি করে বিদেশি এয়ারলাইন্সের ব্যবসায় সহায়তা করছে বিমানমন্ত্রীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন :বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের বিভিন্ন স্টেশন ম্যানেজারদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,আমার কাছে তথ্য এসেছে,বিদেশি এয়ারলাইন্স থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহে পরোক্ষভাবে বাধা দিয়ে থাকেন স্টেশন ম্যানেজাররা । গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রসঙ্গে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি। মন্ত্রিসভা বৈঠক সূত্রে জানাগেছে এ তথ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকটি একটু দেরিতে শুরু হয়। তার ওপর অনেকগুলো এজে-া থাকায় অনির্ধারিত বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে শেষ মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসামরিক বিমান ও পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, বাংলাদেশ বিমানের অনেক সিট খালি থাকে অথচ বিমানের বিভিন্ন স্টেশন ও টিকিট বিক্রির স্থানগুলোতে যখন কোনো যাত্রী টিকিট সংগ্রহের জন্য আসেন তখন তাকে বলা হয় টিকিট নেই। অথচ দেখা গেছে সেই বিমানের অনেক সিটই খালি। এমন অভিযোগ আগেও শুনেছি এখনও শুনছি। এভাবে তো চলতে পারেনা। শেখ হাসিনা বলেন, অভিযোগ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে আমি আরো শুনেছি বিমানের যেসব স্টেশন বিদেশে আছে এসব স্টেশনের ম্যানেজার পর্যায়ের কর্মকর্তারাই টিকিট সংগ্রহ করতে আসা যাত্রীদের নিরুৎসাহিত করে থাকে। এমন অভিযোগও আমার কাছে তথ্য এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগটি হল বিদেশি এয়ারলাইন্স থেকে অবৈধ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহে পরোক্ষভাবে বাধা দিয়ে থাকেন। এতে বিমানের আসন খালি থাকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। বিদেশী স্টেশনের এসব ম্যানেজাররা এভাবে বিমানের অর্থাৎ সরাসরি দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতি করছে আর বিদেশী এয়ার লাইন্সকে ব্যবসা পেতে সহায়তা করছে। এ বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিমানের বিভিন্ন স্টেশন ম্যানেজারদের চাপ দিন। তাদের ওপর নজর রাখুন। তারা যেসব অপকর্ম করছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিন। সম্পাদনা:হুমায়ুন কবির খোকন