রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানসূত্র
ইনাম আহমেদ চৌধুরী
রোহিঙ্গা সমস্যাটা যতদিন না সমাধান হয়, বাংলাদেশের জন্য চিরস্থায়ী একটা সঙ্কট হিসেবে থাকবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক ও মানবিক কষ্টের বিষয়ও বটে। সঙ্কট সমাধানে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এজন্য সরকারের উচিত হবে সব রাজনীতিক দল, সচেতন সুধীসমাজ এবং নাগরিক সমাজ সকলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় একাত্বতা ঘোষণা করা। জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চিন্তা করতে হবে কীভাবে আমরা বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতে পারি। মিয়ানমার যেন বুঝতে পারে আমাদের শক্তি আছে। আমাদের চেয়েও ছোট দেশ মালদ্বীপ। তারা তাদের বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে। আর আমাদের খাদ্যমন্ত্রী মিয়ানমারে গেছেন খাদ্য আনতে। যে খাদ্য আনতে গেছেন সেই খাদ্যের দাম এখনো ঠিক হয়নি। খাদ্য পাঠানোর সময় দাম নির্ধারন করা হয়। আমাদের দেখানো উচিত ছিল যে, আমরা তাদের উপর অসন্তুষ্ট। সেখানে আমরা একটা রং সিগন্যাল দিয়েছি। শুধু মিয়ানমারকে নয়, সারা পৃথিবীকেই আমরা রং সিগন্যাল দিয়েছি। আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখছি। সব দেশকে ব্রিফ করতে হবে। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ওআইসি ভুক্ত দেশসমূহের সাথে আলাপ করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের কনসাল্টকে শেয়ার করেছেন কিন্তু বাংলাদেশের আরও বেশি কনসাল্ট দরকার। ভারতের ভূমিকা বিস্ময়কর। ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের মতামত সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রোহিঙ্গারা এভাবে এখানে থাকতে পারে না। মিয়ানমার যে একটা ছল-ছাতুরি তৈরি করছে এটা বুঝা যাচ্ছে। মিয়ানমার বলছে, ২৫ আগস্ট তাদের ওপর রোহিঙ্গারা আক্রমণ করেছিল, এটা কতটুকু সত্য তা অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে। কফি আনানের যে রিপোর্টটা বের হয়, এটা রোহিঙ্গাদের পক্ষেই ছিল। রিপোর্ট প্রকাশের পরেই তারা আবার মারতে শুরু করে দেয়। মিয়ানমার সরকার হয়তো ভাবেনি কফি আনানের রিপোর্টটা এইভাবে হবে। আরাকান রাজ্যের বাসিন্দারা তো শত শত বছর ধরে সেখানে বাস করছে। তাদের অধিকার নিশ্চিতে আমাদের কাজ করতে হবে। বিশ্বকেও এগিয়ে আসতে হবে।
পরিচিতি: ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত: সাইফুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ