মডেলকে নগ্ন করে মডেলসহ কারাগারে আলোকচিত্রী
নিউইয়র্ক পোস্ট : মিসরের প্রাচীন একটি মন্দিরের সামনে নগ্ন হয়ে ফটোশুট করায় বেলজিয়ামের এক মডেল ও তার আলোকচিত্রীকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুধু তা–ই নয়, মারিসা পাপেন নামের ওই মডেল ও তার আলোকচিত্রী জেসে ওয়াকারকে কারাগারে সবার সামনে এক দিন নগ্ন হয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মডেল মারিসা নিজেকে ‘স্বাধীনচেতা ও বাঁধনহারা’ মনের মানুষ হিসেবে মনে করেন। তিনি বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে নগ্ন ফটোশুট করেছেন। কিন্তু মিসরে ওই প্রাচীন মন্দিরের সামনে কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি না নিয়ে নগ্ন ফটোশুট করায় তাদের আটক করে পুলিশ। তারপর আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত এক দিন কারাগারের ভেতরে তাদের নগ্ন করে রাখা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরে গিজার পিরামিডের কাছে মারিসার নগ্ন ফটোশুট চলছিল। আগে থেকে অনুমতি না নেওয়ায় তারা নিরাপত্তারক্ষীদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে ফটোশুট শুরু করেন। বেশ কিছু ছবিও তোলেন তারা। এরপর একটু এগিয়ে লুক্সোরে কারনাকের প্রাচীন মন্দিরের সামনে লুকিয়ে ছবি তোলার সময় দুই নিরাপত্তারক্ষী তাদের দেখে ফেলেন। পরে তারা মডেল ও আলোকচিত্রীকে আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশ তাদের ওই অবস্থাতেই কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। মডেল মারিসা বলেন, ‘আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে মিসরীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা এটা করছি।
কিন্তু তারা নগ্নতা ও শিল্পের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক বুঝতে নারাজ। তাদের দৃষ্টিতে নগ্ন ফটোশুট পর্নো বা এ ধরনের কিছু। অথচ এই দেশটিই ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে গর্ব করে!’ প্রতিবেদনে বলা হয়, সে সময় বড় ধরনের ঝামেলা এড়াতে মারিসা ও জেসে কিছু ছবি নিজে থেকেই মুছে ফেলেন। তারা ছবি তোলেননি, শুধু ক্যামেরার লাইট ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করছেন—এ বললেও পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি। মডেল মারিসার অভিযোগ, পুলিশ তাদের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড পরীক্ষা করে কোনো কিছু পায়নি। তারপরও তাদের আটক করে নগ্ন অবস্থায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর এক দিন পর তাদের আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।