প্রশ্ন উঠেছে – ভ- ‘বাবা’দের তালিকায় রামদেবের নাম নেই কেন
সংবাদ প্রতিদিন : ধর্ষক ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিমের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে ভ- সাধু সন্তদের বিরুদ্ধে হইচই শুরু হয়েছে। সাধুদের সংগঠন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ তো রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে দেশবাসীকে ১৪ জন ভ- সাধুর ভাঁওতাবাজি থেকে সতর্ক থাকতে বলেছে। ওই তালিকায় রয়েছে আশারাম বাপু, সন্ত রামপাল ও গুরমিতের নামও। কিন্তু এই তালিকায় কেন বাবা রামদেবের নাম নেই, সেই বিষয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগি¦জয় সিং। তার বক্তব্য, ‘ভ- সাধুর তালিকায় বাবা রামদেবের না দেখে আমি দুঃখ পেয়েছি। ’ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গেরুয়া বস্ত্র পরে নকল পণ্য বিক্রি করলে বুঝি সব পাপ মাফ করে দেওয়া হবে? জাল ও নিম্নমানের পণ্যকে আসল বলে বিক্রি করে গোটা দেশকে রামদেব বাবা ঠকাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তার প্রশ্ন, ‘মনু স্মৃতি’তে কি লেখা রয়েছে যে গেরুয়া বসন পরে ব্যবসায় নামলে সবরকম দুষ্কর্ম ঢাকা পড়ে যাবে?
বস্তুত বাবা রামদেবের সংস্থা ‘পতঞ্জলি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ কিন্তু কম নেই। পণ্যে ভেজাল মেশানো থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি-এরকম প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে।
কিন্তু প্রত্যেকবারই যেন কোনও এক অদৃশ্য জাদু মন্ত্রে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যান বাবা রামদেব। তার পতঞ্জলি আশ্রমের ভিতরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। রয়েছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী। দুরন্ত বিপণন কৌশলে পতঞ্জলির পণ্য কেনা ও নিজের দেশকে ভালবাসা-যেন সমার্থক করে তুলতে পেরেছেন রামদেব। অথচ, সেই বাবা রামদেবই অসমে বন্যার্তদের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র কি রামদেবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ