চামড়ার বাজারে ধস রপ্তানি হ্রাসের আশঙ্কা
মোনা হক : কাঁচা চামড়ার বাজারে এবার ধস নেমেছে। কোরবানির পর ঢাকায় ১ লাখ টাকার একটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। এমনকি প্রতিটি গরুর চামড়া ৪শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। চট্টগ্রামে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি দরে চামড়া বিক্রি করতে পারেনি কোরবানিদাতারা। অতি অল্প দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির খবর এসেছে আড়াইহাজার, নেত্রকোনা, সিরাজগঞ্জ, বাজিতপুর, বরিশাল ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে।
অপরদিকে সীমান্তের ওপার ভারতে কাঁচা চামড়ার মূল্য প্রতিবর্গফুট ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তার দাম নূন্যপক্ষে ২৪০ টাকা। তা সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে কাঁচা চামড়ার বিপুল মূল্যহ্রাসের পরও গ্রামের কৃষকগণ এবার নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেকও পায়নি। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাচার ঠেকানোর জন্য আরোপ করা হয়েছে যথেষ্ট কড়াকড়ি। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তপথ অনেক দীর্ঘ। চামড়া পাচারের রোড হিসেবে ব্যবহূত হয়ে থাকে বেনাপোল, সিলেটের তামাবিল সীমান্ত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আখাউড়া, কসবা, কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনীর অসংখ্য চোরাই পথ। কত আর পাচার ঠেকানো যাবে সীমিত পাহারা বসিয়ে?
বাংলাদেশ হাইডস এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চামড়া পাচারের অভিযোগ উত্থাপন করে বলা হয়েছে, ট্যানারির মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের। ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তরের অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা পরিশোধ করছে না ট্যানারির মালিকরা। এ কারণে আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে পারছে না খুচরা ব্যবসায়ীদের। এর ফলে চামড়ার দাম কম দিতে হচ্ছে কৃষকদেরকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চামড়া শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।