৯ বছরে পিলার, ব্রিজ হবে কতদিনে?
বিপ্লব বিশ্বাস : আর কত সময় লাগবে ওভারব্রিজটির কাজ শেষ করতে? প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। একটা ওভারব্রিজের জন্য কত সময় লাগে? এই সড়কে কোন ট্রাফিক পুলিশ ও জেব্রা ক্রসিং না থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় রাস্তা। অনেক সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের।’ এবাবেই কথাগুলো বললেন অর্ধেক র্নিমিত ওভারব্রিজটির পাশে পত্রিকা বিক্রেতা আবুল মিয়া। ওভারব্রিজটি রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাত মসজিদ রোড সংলগ্ন শংকর প্লাজার সামনে। ২০০৮ সালে কিছুকাজ করলেও এখনো অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
সাত মসজিদ রোডের দুই পাশে বাসস্ট্যান্ড এবং শংকর প্লাজা নামের একটি মার্কেট রয়েছে। তার পাশেই আছে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ও রয়েছে নামিদামী ৭/৮টি রেস্তোরা। এ সকল প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে এ রাস্তা পারাপারে সব সময়ই মানুষের ব্যস্ততা থাকে। পারাপার হতে গিয়ে পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ওভারব্রিজের কাজ গত আট থেকে নয় বছর ধরে অসমাপ্ত রয়েছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধানমন্ডির স্থনীয় বাসিন্দা রফিকল ইসলাম জানান, সিটি কর্পোরেশন আর ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে কাজে মিল না হওয়া ওভারব্রিজের কাজ শেষ হচ্ছে না। আমি প্রায় ছয়/সাত বছর আগে ফুটওভারব্রিজের কাজে চিত্র একই রকম দেখে আসছি। এই ওভারব্রিজটি পথচারীদের জন্য খুবই জরুরি। গত তিন কিংবা চার দিন আগেই আমার সামনে একটি পথশিশু একটি লেগুনার নিচে পরে যায়। এই রকম অসংখ্য দুর্ঘটনা আমর সামনে ঘটেছে। তাছাড়াও ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের।’ এ সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন স্বপন বলেন, সম্ভবত ২০০৯ সালের দিকে ওভারব্রিজের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পটি সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। আমি যতদূর জানি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তার সরানোর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল। এ জন্যই পরে আর কাজ হয়নি।
ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আবুল হাসেম বলেন, বৈদ্যুতিক তার সরানোর জটিলতার কারণে ওই ফুটওভারব্রিজ স্থাপন কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে। আমরা নতুন করে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ওই ফুটওভারব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত