এই আমাদের প্রধানমন্ত্রী
আমার মনে অনেক প্রশ্ন জমাট বেধে থাকে, সবকিছু চোখের সামনে ঘটছে, পরিবর্তন হচ্ছে, কিভাবে সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে। এই ছোট পরিবর্তনগুলো কেন আগে হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চিন্তাধারা, আপনার বাসার পানির কলটি অহেতুক ছেড়ে রাখবেন না সেটাও বলতে হয়েছে। পরিবর্তনের কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক, সর্বশেষ মন্ত্রী পরিষদের মিটিং সচিবালয়ের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে করেছেন, এতে ঢাকা শহরের অনেক এলাকা যানজটমুক্ত হবে, যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। আরিচা ফেরিঘাট সুদীর্ঘকাল দৌলতদিয়া পার হতে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগত। কত সময়, কত তেল লাগত ফেরি চালাতে। একটু রাস্তা বানিয়ে পাটুরিয়া থেকে সোজাসুজি পারের ব্যবস্থা করায় এক ঘন্টা সময় বেঁচে গেল। এতে ফেরীর সংখ্যা, তেলের অপচয় ও মূল্যবান সময় বেঁচে গিয়েছে অনেক। আমরা কোরবানির চামড়া ক্রয়ের জন্য নাটোর চাপাই যেতাম বগুড়া হয়ে, যমুনা ব্রীজ থেকে ডামপারা দিয়ে রোড করে দেওয়ায় এক ঘন্টা সময় এখন কম লাগছে। রাষ্ট্রের জন্য বিশাল অর্থ লাঘব হচ্ছে। ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল বিকেন্দ্রীকরণ করতে অনেক ছোট- ছোট নৌ-টার্মিনাল করা হয়েছিল, জনসচেতনতার অভাবে কাজে লাগানো যায়নি, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ ও কাসিমপুরে নেওয়া হয়েছে। অনেক ফ্লাইওভার, বুড়িগঙ্গা নদীর উপর তিনটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ বঙ্গ ও উত্তর বঙ্গের সাথে যোগাযোগের জন্য ঢাকাকে বাহিরে রেখে মদনপুর থেকে টঙ্গি হয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা সিলেট যাতায়াতের বিকল্প পথ ডেমরা ব্রীজ ও উত্তরবঙ্গ থেকে আসা পরিবহন গাউছিয়া দিয়ে বিকল্প পথ করা হয়েছে। কুড়িল বিশ্ব রোড দিয়ে ডেমরা বের হওয়ার রাস্তা করা হয়েছে। মেট্টো রেল, পদ্মা সেতু হলে বাংলাদেশের যে কি পরিমাণ উন্নয়ন দেখা যাবে কল্পনা করুন। কত শত উন্নয়ন হবে তা কি আর এই ছোট নিবন্ধে লেখা যাবে। তবুও ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতেই হবে। মানুষের চাহিদা ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন শেখ হাসিনাকেই করতে হবে। এদেশের মানুষ জাতির জনকের পরিবারকে বিশ্বাস করে, দায়িত্ব পালনে পিছুপা হয় না। শুধু কর্তব্য পালন করেই শেষ হয় না, প্রতিদিন নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের কাছে জনগণের জন্য রহমত ভিক্ষা চান শান্তির জন্য। কিছু কাজ তো আপনাকে করতেই হবে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে। সোয়ারী ঘাট থেকে গাবতলি রাস্তাটি ফোর লাইন করে স্লুইচ গেট থেকে একটি ব্রিজ আমিন বাজার পাওয়ার পাম্পের পিছন দিয়ে ঢাকা-আরিচা রোডে সংযোগ করা, গাবতলি গরু হাটের গরু ঢাকার যানজটের অন্যতম কারন। একটি বিকল্প গরুর হাট মাতুয়াইলে করে দিলে পরিবহন চলাচল বাধাহীন হওয়া যাবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ইতিমধ্যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সদরঘাট থেকে নদীর পাড় দিয়ে পিলার করে পোস্তগোলা ব্রিজের সাথে সংযোগ করা যায় কিনা পরিকল্পনায় রাখতে হবে। রামপুরা থেকে গাউছিয়া, মাওয়া থেকে সাভার, মানিকগঞ্জ যদি রাস্তা সংযোগ করা যায়। ইতিমধ্যে আড়াইহাজার দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিকল্পনা সরকার করেছেন, নারায়নগঞ্জের ব্রিজ হয়ে গেলে কাঁচপুরের ব্রিজের যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। উন্নয়নের উপদেশ দেওয়া সোজা, বাস্তবতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। ক্ষমা করবেন উপদেশ নয়, অনুরোধ। ২৩/৮/২০১৭ ইং আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, মন্ত্রী পরিষদের মিটিং সচিবালয়ের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে। বিষয়টি ছোট ও স্বাভাবিক হলেও এর গুরুত্ব অনেক বড়। তিনি সুবিবেচনায় কাজটি করেছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তার প্রতিটি কাজই সুবিবেচনায় করা। জাতির জনকের কন্যার কাছে তাই আশা করে মানুষ। এখানেই তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এই হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা। কর্মেই যার পরিচয়। লাখো রোহিঙ্গাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের খেতে দিচ্ছেন। পাশে থাকছেন। বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। তার মহত উদ্যোগে সমর্থন রয়েছে। বাবার মতো তিনিও এদেশের জনগণের হৃদয়ে থাকবেন। নিপীড়িত মানুষের মনিকোঠায় থাকবে।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি