ডিএসইর চার ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা করেছে বিএসইসি
মাসুদ মিয়া : সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুল লঙ্ঘন করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চার ব্রোকারেজ হাউজকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ৬১১তম কমিশন সভায় এ জরিমানা করা হয়। জরিমানার শিকার ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- ইন্ডিকেট সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আজম সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং সায়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
বিএসইসি জানিয়েছে, অনিয়ম করায় মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ ও আজম সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা করে জারিমানা করা হয়েছে। আর ইন্ডিকেট সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস ও সায়া সিকিউরিটিজকে ৩ লাখ টাকা করে জারিমানা করা হয়েছে। চারটি ব্রোকারেজ হাউজই তাদের কনসলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুল ১৯৮৭-এর রুল ৮এ(১) ভঙ্গ করেছে। এর বাইরে ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ ও আজম সিকিউরিটিজ অনুমোদিত প্রতিনিধিদের নামে বিও হিসাব খুলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রেজুলেশন ২০১৩ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ এর বিধি ৪(২)(৪) ভঙ্গ করেছে।
এছাড়া কর্মচারী, পরিচালক ও তাদের আত্মীয়দের নামে ঋণ দিয়ে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ জারি করা কমিশনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। নগদ হিসাবে ঋণ প্রদান করে মার্জিন রুল ১৯৯৯-এর রুল ৩(১) এবং ‘জেড’ গ্রুপের শেয়ারে ঋণ দিয়ে কমিশনের ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর জারিকরা নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। পাশাপাশি ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কনসলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুল ১৯৮৭-এর রুল ৮এ(১) ভঙ্গ করেছে। আর আজম সিকিউরিটিজ ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুল ১৯৮৭-এর রুল ৮এ(১)(সিসি)(১) ভঙ্গ করেছে। সম্পাদনা : মোনা হক