‘ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকলে তাদের হিসাব রাখতে হবে ’
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ও আসছে এদের মধ্যে কেউ ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকলে সেটা রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। এটা আগামী দিনে কাজে লাগবে। কারণ ধর্ষণ একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। সেই অপরাধের জন্য আগামী দিনে বিচার হবে এই কথা বলেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে মিয়ানমার থেকে যারা নির্যাতন ও সহিংসতা এবং ধর্ষণের শিকার হয়ে এখানে আসছে তাদের একটি হিসাব রাখা। এই হিসাব একা রাখলে হবে না। এই জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রয়োজন। বাংলাদেশ উদ্যোগ নিতে পারে এই সংখ্যা বের করার জন্য তালিকা করার। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার যখন আন্তর্জাতিক আদালতে হবে তখন অনেক তথ্য প্রমাণ লাগবে।
তিনি বলেন, নির্যাতিত ও ধর্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন সংখ্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও একটি সংখ্যা রয়েছে বলে গণমাধ্যমে দেখেছি। তাই এই সংখ্যা যদি আসলেই হয়ে থাকে। তাহলে বিষয়টি অনেক সিরিয়াস। এই জন্য এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন ঘটনা চলছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আন্তর্জাতিক পরিম-ল থেকে বাংলাদেশের কাছে এই সব বিষয়ে আগামী দিনে তথ্য নিতে চাইতে পারে। সেটা জাতিসংঘও হতে পারে। তাই বাংলাদেশের উচিত হবে এখন থেকে সংখ্যা সংরক্ষণ করে রাখা।
ধর্ষণের শিকার ও নির্যাতিত নারী শিশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। সেটা দিলেও তাদের অবস্থা যেমন জানা যাবে আবার সেই সঙ্গে তাদের নাম ও পরিচয় এবং ঘটনাগুলোও লিপিবদ্ধ করে রাখা যাবে। এতে করে সুবিধা হবে । কাদের দ্বারা শিকার হয়েছে সেখানেও একটি বর্ণনা হবে।
এছাড়াও অন্যান্য যে ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সেসব বিষয়গুলোও লিপিবদ্ধ রাখতে হবে।