টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মংগদুর সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট : টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেছে। এই সহিংস পরিস্থিতির কারণেই টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য কমেছে। প্রথম আলো
গত ২৪ আগস্টের পর থেকে টেকনাফের অপর পারে অবস্থিত মিয়ানমারের ছোট শহর মংগদুর সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কোনো ব্যাংক লেনদেনও হচ্ছে না। তবে সীমিত পরিসরে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কিছু পণ্য আসছে। বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্যের চালান মিয়ানমারে যাচ্ছে না।
টেকনাফই হল মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির একমাত্র স্থলবন্দর।
টেকনাফ স্থলবন্দর হলেও মূলত নদীপথ ব্যবহার করেই এই পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এটি একটি আমদানি নির্ভর স্থলবন্দর। মিয়ানমার থেকে কাঠ, চাল, মাছ, শুঁটকি, আদা, হলুদ, আচার, তেঁতুল, চকলেট, মসলা, মৌসুমি ফল আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে বেশি যায় প্লাস্টিক পণ্য। এ ছাড়া সীমিত পরিসরে তৈরি পোশাক, সিমেন্ট ও ঔষধ রপ্তানি হয়। মিয়ানমারের মংগদু ও আকিয়াব থেকেই মূলত পণ্য আসে।
স্থানীয় চাল আমদানিকারক এম এ হাশেম বলেন, গত মঙ্গলবার যে চালানে চাল এসেছে, তা প্রায় দেড় মাস আগে কেনা। ২৪ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের ব্যাংক লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এতে যেকোনো সময় সীমান্ত বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।