টাঙ্গাইলের সখীপুরে একদিনেই বিক্রি হয় দুই কোটি ডিম
ডেস্ক রিপোর্ট : জেলার সখীপুরে ডিম উৎপাদনে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ডিম উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে সখীপুর উপজেলাটি। পোল্ট্রি খামারি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, খামারি ও আড়তদাররা জানায়, সখীপুর, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া, ঘাটাইল, কালিহাতী উপজেলাসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় প্রায় অর্ধলক্ষ ছোট-বড় ও মাঝারি পোল্ট্রি খামার গড়ে উঠেছে। দেশের মধ্যে এ অঞ্চলটি এখন পোল্ট্রি শিল্পে প্রধান অঞ্চল হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। ডিম ও মুরগি কিনে নিতে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, কাপ্তানবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কয়েকশ’ ট্রাক ঢুকছে এলাকায়। দেশের চাহিদার ডিম ও মাংসের জোগান দেয়া হচ্ছে এ অঞ্চল থেকে। বাসস
ডিম বিক্রির জন্য সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অর্ধশত আড়ত গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে সখীপুর সদর, কচুয়া, কালিয়া, বড়চওনা, ভূয়াইদ, কুতুবপুর, জোরদিঘী, সাগরদিঘী, আড়াইপাড়া, কালিদাশ, বানিয়ারছিট, মহনন্দপুর, তৈলধারা, গড়বাড়ি, দিঘীরচালা, গজারিয়া, দাড়িয়াপুর, হাতীবান্ধা, যাদবপুর ও বহেড়াতৈল বাজার উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ এবং ৫ থেকে ৪ লাখ পিস ডিম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। খামারিদের কাছ থেকে অগ্রীম ডিম কিনছেন স্থানীয় আড়তদাররা। খামারিরা ভ্যানগাড়ি ও ঠেলাগাড়িতে করে আড়তদারদের কাছে পাঠাচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ডিম উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে জানিয়ে বলেন, এ সাফল্যকে ধরে রাখতে ডিম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। বৃহত্তর সম্ভাবনা খাতে খামারিদের নানা সমস্যা সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন। ডিম উৎপাদনের প্রান্তিক খামারি, উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি যাতে নিশ্চিত হয় সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। এমন প্রত্যাশার কথা যোগ করেন তারা। টাঙ্গাইল জেলা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ বলেন, নানা সিন্ডিকেট ও ভেজালে বেশকিছু খামার বন্ধ হওয়ার পরও এ শিল্পের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। সম্পাদনা : মোনা হক