২২ ট্রাক ত্রাণ এখন চট্টগ্রাম দলীয় কার্যালয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বিএনপি
শাহানুজ্জামান টিটু ও মাঈন উদ্দিন আরিফ, কক্সবাজার উখিয়া থেকে : প্রশাসনের বাধার মুখে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে পারেনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটি। রোহিঙ্গাদের জন্য দলটি ২২ ট্রাক ত্রাণ বিতরণের সব প্রস্তুতি নেয়। এজন্য গত মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামে যান। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে ২২ ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী ভর্তি করে। সকালে রওনা হওয়ার আগেই পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান দুদু জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ২২ ট্রাক ত্রাণ দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে বিএনপির ত্রাণ তাদের কাছে দিতে হবে। কিন্তু আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানছি না। ত্রাণের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। এ বিষয়টি প্রশাসন জানেন না বলে জানান তিনি।
পুলিশের বাধার মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ ট্রাক ত্রাণ রেখে বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থায় কক্সবাজারের উখিয়া থানার বালুখালি, থাইখালী, পালংখালী কুতুপালং এলাকায় নগদ অর্থ দেন।
বিএনপির ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আজকেও ত্রাণ নিয়ে বের হতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রশাসন আমাদের ত্রাণ নিয়ে বের হতে দেয়নি। আমরা এখন রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ অর্থ দিচ্ছি এবং অন্যভাবে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে ঢাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবাই ত্রাণ দিতে পারছে। আওয়ামী লীগ, এরশাদ তারা ত্রাণ দিতে পারছে। বিএনপির ত্রাণ দিতে বাধা। আমরা কি করতে পারি। এখন যারা রাজা-মহারাজা সেজে বসে আছে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি, এর বাইরে তো আর কিছু করার নেই আমাদের। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ