রোহিঙ্গা ইস্যুটি খুবই উদ্বেগজনক
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তামিজী
গভীর উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ আর বুকভরা যন্ত্রণার রক্তাক্ত দাগ নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাঙলার রক্তরঞ্জিত এই রাজপথে দাঁড়িয়েছে। প্রথম কথা, এই তথ্য প্রজ্ঞা আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা, মানবতার সভ্যতার উন্নয়ন সময়কালে পৃথিবীর কোনো দেশের, কোনো মানুষের ওপর বর্বর ও জঘন্য অত্যাচার বরদাস্ত করা যায় না। প্রতিবেশি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র মায়ানমার এবং তার সরকার যে গণহত্যা পরিচালনা করছে এতে মানবতা বিপন্ন ও বিধ্বস্ত হচ্ছে। সভ্যতা, উন্নয়ন ও জাতি সত্তার মহান ব্রতের কোনো শক্তিই বর্বরতা চালাতে পারে না। এক্ষুনি মানুষ হত্যা ও মানুষকে ভিটে ছাড়া করার কুট পায়তারা বন্ধ করার জন্য সোচ্চার আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে- ঝঞঙচ এঊঘঙঈওউঊ, ঝঞঙচ অঞজঙঈওঞওঊঝ, ঝঞঙচ অখখ ঠওঙখঊঘঈঊ, ঘঙ গঅঝঝঅঈঅজ, ঘঙ ঋওজঊ, ঝঅঋঊ গঅঘ, ঝঅঋঊ গঅঘ, গঅঘ ্ গঅঘ, ঝঅঋঊ জঙঐওঘএঅ, ঝঅঋঊ জঙঐওঘএঅ. বিশ্বের সকল মানবিক শুভ শক্তি, সাহস তার সৌন্দর্য তার মানবতাবোধ লাঞ্ছিত মানবতার চির কল্যাণের তরে যে উদার দৃষ্টি গ্রহণ করছে, করছেন এবং করবেন এতে করে বিশ্বের মানব ইতিহাসের সর্বব্যাপক ও সর্ববৃহৎ বিশ্বমানবতার পথ মুক্ত ও উন্মুক্ত ডাকে – ভেসে যায় সকল জঘন্য বর্বরতা।
আমরা বাংলাদেশের নাগরিক সকল বর্বরতা, সকল মানবতাবিরোধী জঘন্য চক্রান্ত ও অপতৎপরতা অকস্মাৎ ভস্মীভূত করে সম্মুখে দাঁড়াতে পারি। আমাদের চিৎকারে বিশ্বমানবতার শুভ অভ্যুদয় হয়। অতএব হে বর্বর, অতএব হে ঘাতক ও দানব, অতএব হে মানবতার শত্রু , তোমরা যে হও, যা কিছু হও-আমরা বঙ্গোপোসাগরের উত্তাল ঢেউ তুলে বলছি: ওগগওউওঅঞঊ ঝঞঙচ ণঙটজ অঞজঙঈওঞওঊঝ.
তোমরা কি দেখ নাই ধুরন্ধর হিটলারের পতন, তোমরা কি দেখ নাই ধুরন্ধর কিসিঞ্জারের ভ্রান্তপথ, তোমরা কি দেখ নাই ভয়াবহ জল্লাদ ইয়াহিয়া-টিক্কার বিষাক্ত দাঁতের করুন অধ:পতন।
বঙ্গবন্ধুর তর্জনী তুলে বলি: বর্বর কখনো শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে না। মানুষকে দেশহারা করে কেউ শ্রেষ্ঠ হতে পারে না। ১৯৭১ সালে বাঙালি নিধনতত্ত্ব যেমন উচ্ছ্বন্নে গেছে, তেমনি নিকট রোহিঙ্গা উচ্ছ্বন্নতত্ত্বও উচ্ছন্ন হয়ে যাবে; আজ বিশ্বমানবতার উচ্চডাক বিশ্বের প্রত্যেক ঘরে ঘরে মঙ্গললোকে মঙ্গল-আলোকে আলোকিত বিশ্বপ্রাণ এই রুখে দেবে ঐ মানুষের তাবত লাঞ্ছনার দগ্ধ অপমান।
কথা দুই, বন্ধু প্রতিম মিয়ানমার রাষ্ট্রশক্তি যা করছে, তা অন্যায় তা জঘন্য অত্যাচার। কোনো রাষ্ট্রশক্তি তার জনগণকে সুরক্ষা না দিয়ে, হত্যা-খুন-ধর্ষণ আর একই সঙ্গে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নৃশংস তান্ডব চালাতে পারে না।
যা মিয়ানমার সরকার তার দেশের মানুষের ওপর চালাচ্ছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভায়ায় এটা, রাষ্ট্র কর্তৃক রাষ্ট্র পরিচালিত মানুষ ধ্বংসের নৃশংস অন্যায় ও বর্বর অত্যাচার। এতে করে আমার দেশ, বাংলাদেশ আতঙ্কিত । কারণ, প্রতিবেশি বন্ধু দেশ থেকে ছুটে আসা, বিপন্ন রাষ্ট্রের অগণিত বিপন্ন মানুষকে থাকার জায়গা এবং খাবার দেবার ঘটি-বাটি-থালঅ-বাসন, চাল-ডাল-তেল-নুন আমাদের নাই; এটা আমাদের বাংলাদেশের দারুন উৎকণ্ঠা। এ উৎকণ্ঠা বিশ্বের মানবতাবাদি রাষ্ট্রশক্তির কাছে, তার জনগণের কাছে-উচ্চকন্ঠে জানাচ্ছি। প্রাণ খুলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিপন্ন মানুষের জন্য যে মানবিক দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। তার প্রতি আরও শ্রদ্ধা, আমরা বলেছিলাম, কুটনৈতিকতার মাধ্যমে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলা করার কথা। এ কাজও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছেন।
প্রেক্ষাপটে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কুটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি সমানভাবে সংকট মোকাবেলার সঙ্গী হতেও আগ্রহ প্রকাশ করে। বিপন্ন মানুষের জন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবক হতেও আগ্রহ প্রকাশ করছি। যুদ্ধ নয়; শান্তি চাই, জয় হোক বিশ্ব মানবতার ।
লেখক: চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ