সরকারের নীতির কারণেই রোহিঙ্গারা মারা যাচ্ছে : রিজভী
কিরণ সেখ : বাংলাদেশ সরকারের নীতির কারণেই প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা বৃদ্ধ ও শিশু মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নাগরিক সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন বৃদ্ধ ও শিশু রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। সরকারের নীতির কারণে তারা মারা যাচ্ছে। অথচ বাইরে থেকে যে ত্রাণ আসছে তা বিতরণের বিষয়ে গণমাধ্যমে যাতে জানতে না পারে তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ সেখানে লুটপাটের একটি সুযোগ থাকবে। আর বিএনপি ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে সেখানে যাতে যেতে না পারে, সরকার সেই ব্যবস্থাও করেছে। অর্থাৎ অং সান সূচির কর্মকা-ের সঙ্গে শেখ হাসিনার কর্মকা-ের কোনো গরমিল নেই, একই কর্মকা-।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শিশুদের গলা জড়িয়ে ধরে আপ্লুত হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে তিনি খুশিতে আপ্লুত হচ্ছেন। উনার মনের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বলছেন, তোরা মরছিস না কেন! এটাই উনার আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং রোহিঙ্গারা বেঁচে আছে না মরে গেছে সেটা দেখতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার গিয়েছিলেন বলে মনে করেন রিজভী।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতায় বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের টিম কক্সবাজার গেছে জানিয়ে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে আমাদের টিমের ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে। কক্সবাজার বিএনপির অফিসের সামনে আমাদের ২২ থেকে ২৩ ট্রাক ত্রাণ আটকে দেওয়া হয়েছে। তাহলে এই সরকার কার সরকার? রোহিঙ্গারা আরও বেশি নির্যাচিত হোক, ওরা মরে যাক, ওদের কোনো সহায়তা করা হবে না- এই নীতিতে সরকার চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোহিঙ্গারা তাদের সঙ্গে যা সামান্য কিছু নিয়ে আসতে পেরেছে সেটাও ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা কেড়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই মুখপাত্র। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ