আসুন, তার সম্মানে সবাই অন্তত একটি করে গাছ লাগাই
মিরাজুল ইসলাম
দ্বিজেন শর্মা মারা গেছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ তা প্রথম শুনি অনুজ সুমনের কাছ থেকে। কিছুদিন পর সুমন আমাকে জানালো বারডেমে রোগীর সুচিকিৎসা নিয়ে তাদের স্বস্তি হচ্ছে না। পিজি’তে কেমন সুবিধাদি পাওয়া যাবে? আমি জানালাম ওখানে পোস্টগ্রাজ্যুয়েশন পর্যায়ের অনেক চিকিৎসকের আনাগোনা। হয়তো পর্যাপ্ত সুচিকিৎসকের অভাব হবে না। এর কিছুদিন পর সুমন থেকে জানলাম, দ্বিজেন শর্মা’র চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত সুহৃদরা মনে করছেন সেখানে দ্বিজেন বাবু’কে স্থানান্তর করা ‘ওয়াইজ’ হবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউ-তে ডায়ালাইসিসের সুবিধা নেই ও অন্য ইউনিটেও ডায়ালাইসিস মেশিন প্রায় সময় বিকল থাকে। সুতরাং বারডেমে রাখাটাই মন্দের ভালো। এরও কয়েকদিন পর ফেসবুকে এক বন্ধুর পোস্টে দেখলাম দ্বিজেন শর্মা’র পিঠ-পাছা ‘বেড সোর’-এ ক্ষত হয়ে সেপটিক দশায় বীভৎস। মানে প্রোপার ড্রেসিং-নার্সিং হয়নি। জানলাম তিনি সবাইকে মুক্তি দিয়েছেন। এখন ফেসবুকে ব্যাপক বৃক্ষ প্রেম জন্ম নেবে। মৃত দ্বিজেন বাবু সর্বত্র প্রচুর ভালো নিউজ ট্রিটমেন্ট পাবেন।
আসুন, তার সম্মানে সবাই অন্তত একটি করে গাছ লাগাই।
লেখক: চিকিৎসক ও কলামিস্ট/ সম্পাদনা: আশিক রহমান